এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ যাহা হইতে এই বহু উৎপন্ন হইয়াছে, যে এক পদার্থ বহুরূপে প্রকাশিত হইয়াছে, সেই এক পদার্থকে নির্ণয় করাই সমুদয় বিজ্ঞানের মুখ্য উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য । রাজযোগীরা বলেন, “আমরা প্রথমে অন্তর্জগতের জ্ঞান লাভ করিব, পরে উহার দ্বারাই বাহ ও অন্তর উভয় প্রকৃতিই বশীভূত করিব।” প্রাচীন কাল হইতেই লোকে এই বিষয়ে চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন। ভাবতবর্ষেই ইহার বিশেষ চেষ্ট হয় ; তবে অন্তান্ত জাতিরাও এই বিষয়ে কিঞ্চিৎ চেষ্টা করিয়াছিল। পাশ্চাত্য প্রদেশে লোকে ইহাকে রহস্য বা গুপ্তবিদ্যা ভাবিত, যাহারা ইহা অভ্যাস করিতে যাইতেন, তাহাদিগকে ডাইন, ঐশ্রজালিক ইত্যাদি অপবাদ দিয়া পোড়াইয়া অথবা অন্তরূপে মারিয়া ফেলা হইত। ভারতবর্ষে নানা কারণে ইহা এমন লোকসমূহের হস্তে পড়ে, যাহার এই বিষ্ঠায় শতকরা নব্বই অংশ নষ্ট করিয়া অবশিষ্টটুকু অতি গোপনে রাখিতে চেষ্টা করিয়াছিল। আজকাল আবার ভারতবর্ষের গুরুগণ অপেক্ষা নিকৃষ্ট গুরুনামধারী কতকগুলি ব্যক্তিকে দেখা যাইতেছে ; ভারতবর্ষের গুরুগণ তবু কিছু জানিতেন, এই আধুনিক গুরুগণ কিছুই জানেন না। এই সমস্ত যোগ-প্রণালীতে গুহ বা অদ্ভূত যাহা কিছু আছে, সমুদয় ত্যাগ করিতে হইবে। যাহা কিছু বল প্রদান করে, তাহাই অনুসরণীয়। অন্তান্ত বিষয়েও যেমন, ধৰ্ম্মেও তদ্রুপ। যাহা তোমাকে দুৰ্ব্বল করে, তাহা একেবারেই ত্যজ্য। রহস্যম্পৃহাই মানবমস্তিক্ষকে দুর্বল করিয়া ফেলে। এই সমস্ত গুহ রাখাতেই যোগশাস্ত্র প্রায় একেধারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে বলিলেই হয়। কিন্তু وی (ه