এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা বাস্তবিক ইহা একটি মহাবিজ্ঞান। চতুঃসহস্ৰাধিক বর্ষ পূৰ্ব্বে ইহা আবিষ্কৃত হয়, সেই সময় হইতে ভারতবর্ষে ইহা প্রণালীবদ্ধ হইয়া বর্ণিত ও প্রচারিত ইইতেছে। একটি আশ্চৰ্য্য এই ষে ব্যাখ্যাকার যত আধুনিক, তাহার ভ্রমও সেই পরিমাণে অধিক। লেখক যতই প্রাচীন, তিনি ততই অধিক স্বায়সঙ্গত কথা বলিয়াছেন। আধুনিক লেখকের মধ্যে অনেকেই নানাপ্রকার রহস্তের বা আজগুবী কথা কহিয়া থাকেন। এইরূপে যাহাদের হস্তে ইহ পড়িল, তাহারা সমস্ত ক্ষমতা নিজকরতলস্থ রাখিবার ইচ্ছায় ইহাকে মহ গোপনীয় বা আজগুবী করিয়া তুলিল এবং যুক্তিরূপ প্রভাকরের পূর্ণালোক আর ইহাতে পড়িতে দিল না। আমি প্রথমেই বলিতে চাই, আমি যাহা প্রচার করিতেছি, তাহার ভিতর গুহ কিছুই নাই । যাহা যৎকিঞ্চিৎ আমি জানি, তাহা তোমাদিগকে বলিব। ইহা যতদূৰ যুক্তি দ্বারা বুঝান যাইতে পারে, ততদুর বুঝাইবার চেষ্টা করিব। কিন্তু আমি যাহা বুঝিতে পারি না, তৎসম্বন্ধে বলিব, “শাস্ত্র এই কথা বলেন” । অবিশ্বাস করা অন্যায় ; নিজের বিচারশক্তি ও যুক্তি থাটাইতে হইবে ; কাৰ্য্যে করিয়া দেখিতে হইবে যে, শাস্ত্রে যাহা লিখিত আছে, তাহা সভ্য কি-না। জড়বিজ্ঞান শিখিতে হইলে যে ভাবে শিক্ষা কর, ঠিক সেই প্রণালীতেই এই ধৰ্ম্ম-বিজ্ঞান শিক্ষা করিতে হইবে । ইহাতে গোপন করিবার কোন কথা নাই, কোন বিপদের আশঙ্কাও নাই, ইহার মধ্যে যতদুব সত্য আছে,°তাহা সকলের সমক্ষে রাজপথে প্রকাগুভাবে প্রচার করা উচিত। কোনরূপে, এ সকল গোপন করিবার চেষ্টা করিলে অনেক বিপদের উৎপত্তি হয়। - 3 *