পাতা:রাজযোগ.djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র পার্থক্য করিতে পারি। যেমন একটি ট্রেণ চলিতেছে ও একখানি গাড়ী তাহার পাশ দিয়া যাইতেছে। কিয়ৎ পরিমাণে এই উভয়েরই গতি নির্ণীত হইতে পারে। কিন্তু তথাপি অপ্লর একটি পদার্থের প্রয়োজন। নিশ্চল বস্তু একটি থাকিলেই গতিকে অনুভব করা যাইতে পারে। তবে যখন দুই তিনটি বস্তুই বিভিন্নরূপ গতিশীল হয়, তখন আমরা প্রথমে দ্রুততরটির, পরিশেষে মৃদুতর চলনশীল বস্তুটির গতি অনুভব করিতে পারি। মন কি করিয়া অনুভব করিবে ? উহা নিয়ত গতিশীল । সুতরাং অপর এক বস্তু থাকা প্রয়োজন, যাহা অপেক্ষাকৃত মৃদ্ধভাবে গতিশীল, পরে তদপেক্ষ মৃদুতর, তদপেক্ষা মৃদুতর এইরূপ চলিতে চলিতে আর ইহার অন্ত পাওয়া যাইবে না । সুতরাং যুক্তি তোমায় একস্থানে চুপ করিতে বাধ্য করিবে । অপরিবর্তনীয় কোন বস্তুকে জানিয়া তোমাকে, এই অনন্ত শ্রেণীর শেষ করিতে হইবেই হইবে। এই অশেষ গতিশৃঙ্খলের পশ্চাতে অপরিণামী, অসঙ্গ, শুদ্ধস্বরূপ পুরুষ রহিয়াছেন। যেমন ম্যাজিক লণ্ঠন হইতে আলোক-কিরণরাশি আসিয়া শ্বেত বস্ত্রখণ্ডেব উপর প্রতিফলিত হইয়া, উহাতে শত শত চিত্র উৎপাদন করে, অথচ কোনরূপেই উহাকে কলঙ্কিত করে না, ঠিক সেই ভাবেই বিষয়ানুভূতিজ ংস্কারসমূহ কেবল উহার উপর প্রতিফলিত হইতেছে মাত্র। ন তৎ স্বাভাসং দৃশ্বত্বাৎ ॥ ১৯ ॥ সূত্রার্থ।—মন দৃশ্য বলিয়া স্বয়ংপ্রকাশ নহে। ব্যাখ্যা। প্রকৃতির সর্বত্রই মহাশক্তির বিকাশ দেখা যাইতেছে. Vog O