পাতা:রাজযোগ.djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ লইয়া অবস্থিত ও যাহাকে একটি শ্রেণীর অপর প্রান্তে ( শেষে) যাইয়া বুঝিতে পারা যায়, তাহার নাম ক্রম। ব্যাখ্যা। পতঞ্জলি এখানে ক্রম শব্দের লক্ষণ করিলেন । ক্রম শব্দে যে পরিণামগুলি মুহূৰ্ত্তকাল সম্বন্ধে সম্বন্ধ, তাহাদিগকে বুঝাইতেছে। আমি চিন্তা করিতেছি, ইহার মধ্যে কত মুহূৰ্ত্ত চলিয়া গেল। এই প্রতি মুহুর্তের সহিতই ভাবের পরিবর্তন, কিন্তু আমবা ঐ পরিণামগুলিকে একটি শ্রেণীব অন্তে (অর্থাৎ অনেক পরিণামশ্রেণীর পর) ধরিতে পারি। ইহাকে ক্রম বলে। কিন্তু যে মন সৰ্ব্বব্যাপী হইয়া গিয়াছে, তাহার পক্ষে আর ক্রম নাই । তাহার পক্ষে সবই বর্তমান হইয়া গিয়াছে। কেবল এই বর্তমানই তাহার নিকট উপস্থিত আছে, ভূত ও ভবিষ্যৎ তাহার জ্ঞান হইতে একেবারে চলিয়া গিয়াছে । তখন সে মন কালকে জয় করে আর তাহার নিকট সমুদয় জ্ঞানই এক মুহূর্বের মধ্যে আসিয়া উপস্থিত হয়। সমুদয়ই তাহার নিকট বিদ্যুতের ন্যায় চকিতে প্রকাশ পাইয়া থাকে। পুরুষাৰ্থশূন্তানাং গুণানাং প্রতিপ্রসবঃ কৈবল্যং স্বরূপপ্রতিষ্ঠা বা চিতিশক্তিরিতি ॥৩৪ সূত্রার্থ–গুণসকলে যখন পুরুষের কোন প্রয়োজন থাকে না, তখন তাহাদের প্রতিলোমক্রমে লয়কে কৈবল্য বলে অথবা উহাকে চিৎশক্তির স্বরূপ-প্রতিষ্ঠা বলিতে পারা যায়। WS)) e