এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনের প্রথম সোপান হয়, ততদিন প্রত্যহ নিয়মমত কতকগুলি শারীরিক ও মানসিক প্রক্রিয়া করিতে হয়, সুতরাং দীর্ঘকাল একভাবে বলিয়া থাকিতে পারা যায়, এমন একটি আসন অভ্যাসের আবগুক। যাহার যে আসনে বলিলে সুবিধা হয়, তাহার সেই আসন করিয়া বলা কৰ্ত্তব্য ; একজনের পক্ষে একভাবে বসিয়া চিন্তা করা সহজ হইতে পারে, কিন্তু অপরের পক্ষে হয়ত তাহা কঠিন বোধ হইবে। আমরা পরে দেখিতে পাইব যে, যোগ-সাধনকালে শরীরের ভিত্তর নানা প্রকার কার্ঘ্য হইতে থাকিবে । মানবীয় শক্তিপ্রবাহের গতি ফিরাইয়া দিয়া তাহাদিগকে নূতন পথে প্রবাহিত করিতে হইবে ; তখন শরীবের মধ্যে নূতন প্রকার কম্পন বা ক্রিয়া আরম্ভ হইবে ; সমুদয় শরীরটি যেন পুনর্গঠিত হইয়া যাইবে। এই ক্রিয়ার অধিকাংশই মেরুদণ্ডের অভ্যঞ্জরে হইবে ; সুতরাং আসন সম্বন্ধে এইটুকু বুঝিতে হইবে যে, মেরুদণ্ডকে সহজভাবে রাখা আবশুক —ঠিক সোজা হইয়া বসিতে হুইবে, আর বক্ষঃদেশ, গ্ৰীব ও মস্তক সমভাবে রাখিতে হইবে—দেহের সমুদয় ভারটি যেন পঞ্জরগুলির উপর পড়ে। বৃক্ষ দেশ যদি নীচের দিকে ঝুঁকিয়া থাকে, তাহ। হইলে কোনরূপ উচ্চতত্ব চিন্তা করা সম্ভব নয়, তাহা তুমি সহজেই দেখিতে পাইবে। রাজযোগের এই ভাগটি হঠযোগের সহিত অনেক মিলে। হঠযোগ কেবল স্থলদেহ লইয়াই ব্যস্ত ইহার উদ্দেশু কেবল স্থলদেহকে সবল করা । হঠযোগ সম্বন্ধে এখানে কিছু বসিবার প্রয়ােজন নাই, কচু" উহার ক্রিাওলি অতি, কঠিন । উহা একদিনে শিক্ষা করিবারও যো নাই। আর উহা দ্বারা আধ্যাত্মিক উন্নতিও হয় না। , এই সকল ক্রিয়ার অধিকাংশই ૨૭