এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ করিতে পাইবে ; তাহাতেই তুমি বুঝিতে পারিবে যে, আমাদের মন কখন কখন বস্তুর বাস্তব সংস্পর্শে না আসিয়াও তাঁহা অনুভব করিতে পারে। কিন্তু এইটি আমাদের সর্বদ স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, এই সকল সিদ্ধির আর স্বতন্ত্র কোন মূল্য নাই ; উহা আমাদের প্রকৃত উদ্দেশু সাধনের কিঞ্চিৎ সহায় মাত্র। আমাদিগকে স্মরণ রাখিতে হইবে যে, এই সকল সাধনের একমাত্র লক্ষ্য—একমাত্র উদ্দেশু—‘আত্মার মুক্তি’। প্রকৃতিকে সম্পূর্ণরূপে আপনার অধীন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, ইহা ব্যতীত আর কিছুই আমাদের প্রকৃত লক্ষ্য হইতে পারে না। সামান্ত সিদ্ধ্যাদিতে সন্তুষ্ট থাকিলে চলিবে না। আমরাই প্রকৃতির উপর প্রভুত্ব করিব, প্রকৃতিকে আমাদের উপর প্রভুত্ব করিতে দিব না। শরীর বা মন কিছুই যেন আমাদিগের উপর প্রভুত্ব করিতে না পারে ; আর ইহাও আমাদের বিস্কৃত হওয়া উচিত নয় যে—“শরীর আমার’—“আমি শরীরের নহি । এক দেবতা ও এক অসুর উভয়েই এক মহাপুরুষের নিকট আত্মজিজ্ঞাস্থ হইয়া গিয়াছিল। তাহার সেই মহাপুরুষের নিকট অনেক দিন বাস করিয়া শিক্ষা করিল। কিছুদিন পরে মহাপুরুষ তাহাদিগকে বলিলেন, “তুমি যাহা অন্বেষণ করিতেছ, তাহাই তুমি । তাহারা ভাবিল, তবে দেহই আত্মা’। তখন তাহারা উভয়েই “আমাদের যাহা পাইবার, তাহ পাইয়াছি’ মনে করিয়া সৰষ্ট চিত্তে স্ব স্ব স্থানে প্রস্থান করি। তাহারা যাইয় আপন । আপন স্বজনের নিকট বলিল, “যাহা শিক্ষা করিবার তাহা সমুদ্রায়ই শিক্ষা করিয়া, আলিয়াছি, এক্ষণে আইল ভোজন, পান, २y