এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনের প্রথম সোপান শিখাইব, তবে কেহই তাহার কথা গ্রাহ করিবে না। উচ্চ তত্ত্ব শুধু ধারণা করিবার শক্তিও অতি অল্প লোকের মধ্যেই দেখিতে পাওয়া যায় ; সত্যকে লাভের জন্ত অধ্যবসায়শীল লোকের সংখ্যা ত আরও বিরল। কিন্তু আবার সংসারে এমন কতকগুলি মহাপুরুষ আছেন, যাহাঁদের ইহা নিশ্চয় ধারণা ষে, শরীর সহস্ৰ বৰ্ষই থাকুক বা লক্ষ বর্ষই থাকুক, চরমে সেই এক গতি । যে সকল শক্তির বলে দেহ বিধৃত রহিয়াছে, তাহারা অপস্থত হইলে দেহ থাকিবে না । কোন লোকই এক মুহূৰ্ত্তের জন্যও শরীরের পরিবর্তন নিবারণ করিতে সমর্থ হয় না। "শরীর’ আর কি ? উহ! কতকগুলি নিয়ত পরিবর্তনশীল পরমাণু সমষ্টি মাত্র। নদীর দৃষ্টাস্তে এই তত্ত্ব সহজেই বোধগম্য হইতে পারে। তোমার সম্মুখে ঐ নদীতে জলরাশি দেখিতেছ ; ঐ দেখ—মুহূৰ্ত্তের মধ্যে উহ চলিয়া গেল ও নূতন আর এক জলরাশি আসিল। যে জলরাশি আসিল তাহ সম্পূর্ণ নুতন বটে, কিন্তু দেখিতে ঠিক প্রথম জলরাশির সদৃশ। শরীরও সেইরূপ ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। শীর এইরূপ পরিবর্তনশীল হইলেও উহাকে মুস্থ ও বলিষ্ঠ রাখা আবগুক, কারণ, শরীরের সাহায্যেই আমাদিগকে জ্ঞানলাভ করিতে হইবে। তাহ ব্যতীত আর কোনও উপায় নাই।. - সৰ্ব্বপ্রকার শরীরের মধ্যে মানবদেহই শ্রেষ্ঠতম ; মনুষই শ্ৰেষ্ঠতম জীব। মাহুৰ সৰ্ব্বপ্রকার নিকৃষ্ট প্রাণী হইতে—এমন কি, দেবাদি হইতেও—শ্রেষ্ঠg, মানব হইতে শ্রেষ্ঠতর জীব আর নাই। দেবতাদিগকেও জ্ঞানলাভের জন্ত মানবদেহু ধারণ করিতে श्च्न । . একমাত্র मांश्यहं জ্ঞানলাভের অধিকারী, দেবতারাও এ