এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনের প্রথম সোপান যন্ত্রকে চালাইতেছে কে ? উহা যে প্রাণ, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই ৷ শ্বাস-প্রশ্বাসই ঐ_প্রাণশক্তির_প্রত্যক্ষ পরিদৃগুমান রূপ। এখন শ্বাস-প্রশ্বাসের সহিত ধীরে ধীরে শরীরাভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে হইবে । তাহাতেই আমরা দেহাভ্যন্তরস্থ স্বহ্মাণুস্তক্ষ শক্তিগুলি সম্বন্ধে জানিতে পারিব ; জানিতে পারিব যে, স্নায়ুবীয় শক্তিপ্রবাহগুলি কেমন শরীরের সর্বত্র ভ্রমণ করিতেছে । আর যখনই আমরা উহাদিগকে মনে মনে অনুভব করিতে পারিব, তখনই উহারা—ও তৎসঙ্গে দেহও—আমাদের আয়ত্ত হইবে । মন ও এই সকল স্বানবীয় শক্তি-প্রবাহের দ্বার সঞ্চালিত হইতেছে, সুতরাং উহাদিগকে জয় কবিতে পারিলেই মন এবং শরীরও আমাদের অধীন হইয়া পড়ে ; উহারা আমাদের দাস-স্বরূপ হইয়া পড়ে । জ্ঞানই শক্তি। এই শক্তি লাভ করাই আমাদের উদ্দেশু ; স্বতবাং শবীর ও তন্মধ্যস্থ স্নায়ুমণ্ডলীর অভ্যন্তরে যে শক্তিপ্রবাহ সৰ্ব্বদা চলিতেছে, তাহাদিগের সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ বিশেষ আবশুক । সুতরাং আমাদিগকে প্রাণায়াম হইতেই প্রথম আরম্ভ করিতে হইবে। এই প্রাণায়াম-তত্ত্বটির সবিশেষ আলোচনা অতি দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ, ইহা সম্পূর্ণরূপে বুঝাইতে হইলে অনেক দিন লাগিবে। আমরা ক্রমশঃ উহাব এক এক অংশ লইয়া আলোচনা করিব । আমরা ক্রমে বুঝিতে পারিব যে, প্রাণায়াম-সাধনে, যে সকল ক্রিয়া করা হয়, তাহাদের হেতু কি, আর প্রত্যেক ক্রিয়ায় দেহাভ্যন্তরে কোন প্রকার শক্তির প্রবাহ হইতে থাকে । ক্রমশঃ এই সমুদয়ই আমাদের বোধগম্য হইবে । কিন্তু ইহাতে নিরস্তর সাধনের আবিস্তক। সাধনের দ্বারাই আমার কথার সত্যতার \විඳු