এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ প্রমাণ পাওয়া যাইবে । আমি এ বিষয়ে যতই যুক্তি প্রয়োগ করি না কেন, কিছুই তোমাদের উপাদেয় বোধ হইবে না, যত দিন না নিজের প্রত্যক্ষ করিবে । যখন দেহের অভ্যস্তরে এই সকল শক্তি-প্রবাহের গতি স্পষ্ট অনুভব করিবে, তখনই সমুদয় সংশয় চলিয়। যাইবে ; কিন্তু ইহা অনুভব করিতে হইলে প্রত্যহ কঠোর অভ্যাসের আবশ্যক। প্রত্যহ অন্ততঃ দুইবার করিয়া অভ্যাস করিবে ; আর ঐ অভ্যাস করিবার উপযুক্ত সময় প্রাতঃ ও সায়াহ্ন। যখন বজনীর অবসান হইয়া দিবার প্রকাশ হয় ও যখন দিবাবসান হইয়া রাত্রি উপস্থিত হয়, এই দুই সময়ে প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত শান্ত ভাব ধারণ করে। খুব প্রত্যুষ ও গোধূলি, এই দুইটি সময় মনঃ-স্থৈৰ্য্যেব অমুকুল। এই দুই সময়ে শরীব যেন কতকটা শান্তভাবাপন্ন হয়। এই দুই সময়ে সাধন করিলে প্রকৃতিই আমাদিগকে অনেকটা সহায়তা করিবে, সুতরাং এই দুই সময়েই সাধন করা আবগুক । সাধন সমাপ্ত না হইলে ভোজন করিবে না, এইরূপ নিয়ম কর ; এইরূপ নিয়ম করিলে ক্ষুধার প্রবল বেগই তোমার আলস্য নাশ করিয়া দিবে। স্নান-পূজা ও সাধন সমাপ্ত না হওয়া পৰ্য্যস্ত আহার অকৰ্ত্তব্য, ভারতবর্ষে বালকের এইরূপই শিক্ষা পায় ; সময়ে ইহা তাহাদের পক্ষে স্বাভাবিক হইয়া যায়। তাহীদের যতক্ষণ না, স্নান-পূজা ও সাধন সমাপ্ত হয়, ততক্ষণ তাহার ক্ষুধার্ত হয় না । তোমাদের মধ্যে যাহাদের সুবিধা আছে, তাহারা সাধনের জন্য একটি স্বতন্ত্র গৃহ রাখিতে পারিলে ভাল হয়। এই গৃহ শয়নার্থ ব্যবহার করিও না, ইহাকে পবিত্র রাখিতে হইবে। স্নান না বরিয়া ও শরীর মন শুদ্ধ না করিয়া এ গৃহে প্রবেশ করিও না।