এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ আকৃতি ধারণ করে, আমরা তখনই ইহাকে অনুভব করিতে পারি। স্বষ্টির আদিতে একমাত্র আকাশই থাকে। আবার কল্পাস্তে সমুদয় কঠিন তরল ও বাষ্পীয় পদার্থ—সকলই পুনৰ্ব্বার আকাশে লয় প্রাপ্ত হয়। পরবর্তী স্বষ্টি আবার এইরূপে আকাশ হইতেই উৎপন্ন হয়। কোন শক্তির প্রভাবে আকাশ এই প্রকাবে জগৎরুপে পরিণত হয় ? এই প্রাণের শক্তিতে। যেমন আকাশ এই জগতের কারণীভূত অনন্ত সৰ্ব্বব্যাপী মূল পদার্থ, প্রাণও সেইরূপ জগদ্যুৎপত্তির কাৰণীভূত অনন্ত সৰ্ব্বব্যাপিনী বিকাশিনী শক্তি। কল্পের আদিতে ও অন্তে সমুদয়ই আকাশরুপে পরিণত হয়, আর জগতের সমুদয় শক্তিগুলিই প্রাণে লয় প্রাপ্ত হয় ; পবকল্পে আবার এই প্রাণ হইতেই সমুদয় শক্তির বিকাশ হয়। এই প্রাণই গতিরূপে প্রকাশ হইয়াছে—এই প্রাণই মাধ্যাকর্ষণ অথবা চৌম্বুকাকর্ষণ-শক্তিরূপে প্রকাশ পাইতেছে। এই প্রাণই স্নায়বীয় শক্তিপ্রবাহরূপে (nerve-current), চিন্তাশক্তিরূপে ও দৈহিক সমুদয় ক্রিয়ারূপে প্রকাশিত হইয়াছেন। চিন্ত_ শক্তি হইতে আরম্ভ করিয়া অতি সামান্ত দৈহিকশক্তি পৰ্য্যন্ত সমুদয়ই প্রাণের বিকাশমাত্র বাহ ও অন্তর্জগতের সমুদয় শক্তি যখন তাহদের মূলাবস্থায় গমন করে, তখন তাহাকেই প্রাণ বলে। “যখন অস্তি বা নাস্তি কিছুই ছিল না, যখন তমোম্বারা তমঃ আবৃত ছিল, তখন কি ছিল ? * এই আকাশই গতিশূন্ত হইয়া অবস্থিত নাসদাসীয়াে সাপত্তানী-ইত্যাদি তম জাগীং তমসাগমগ্রহপ্ৰকেণ্ডা-ইত্যাদি। খেদসংহিতা ১ম ম:। ১২৯ স্বঃ। 8 *