এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ করে। প্রকৃতির সমুদয় শক্তিই তাহার আজ্ঞামাত্র দাসবৎ কাৰ্য্য করে। অজ্ঞ লোকের যোগীর এই সকল কাৰ্য্য-কলাপ লোকাতীত বলিয়া মনে করে । হিন্দুদিগের একটি বিশেষত্ব এই যে, উহার যে কোন তত্ত্বের আলোচনা করুক না কেন, অগ্রে উহার ভিতর হইতে, যতদূর সম্ভব, একটি সাধারণ ভাবের অনুসন্ধান করে, উহার মধ্যে যা কিছু বিশেষ আছে, তাহা পরে মীমাংসার জন্ত রাখিয়া দেয়। বেদে এই প্রশ্ন পুনঃ পুনঃ জিজ্ঞাসিত হইয়াছে, “কম্মি ভগবো বিজ্ঞাতে সৰ্ব্বমিদং বিজ্ঞাতং ভবতি ? " (মুঃ উঃ ১।৩)। এমন কি বস্তু আছে, যাহা জানিলে সমুদয় জানা যায় ? এইরূপ, আমাদেব যত শাস্ত্র আছে, যত দর্শন আছে, সমুদয় কেবল, যে বস্তুকে জানিলে সমুদয়ই জানা যায়, সেই বস্তুকে নির্ণয় করিতেই ব্যস্ত। যদি কোন লোক জগতেব তত্ত্ব একটু একটু করিয়া জানিতে চাহে, তাহা হইলে তাহার ত অনন্ত সময় লাগিবে ; কারণ, তাহাকে অবশু একএক কণা বালুকাকে পৰ্য্যস্ত পৃথকভাবে জানিতে হইবে। তবেই দেখা গেল যে, এইরূপে সমুদয় জানা একপ্রকার অসম্ভব । তবে এরূপভাবে জ্ঞানলাভের সম্ভাবনা কোথায় ? একএক বিষয় পৃথকৃপৃথক্ জানিয়া মানুষের সৰ্ব্বজ্ঞ হইবার সম্ভাবনা কোথায় ? যোগীরা বলেন, ‘এই সমস্ত বিশেষ অভিব্যক্তির অন্তরালে এক সাধারণ সত্তা রহিয়াছে। উছাকে ধরিতে বা জানিতে পারিলেই সমুদয় জানিতে পাৱা যায়। এই ভাবেই বেদে সমুদয় জগৎকে খুব সত্তা সামান্তে পর্যবসিত করা হইয়াছে। ধিনি এই অস্তি-স্বরূপকে ধরিয়াছেন, তিনিই স জগৎকে বুঝিতে পারিয়াছেন। উক্ত প্রণালীতেই সমুদয় | 8ቑ -