এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণ আমাকে একটি মশক দংশন করিল ; আমার হাত আপনা আপনি উহাকে আঘাত করিতে গেল। উহাকে মারিবার জন্ত হাত উঠাইতে নামাইrত আমাদিগের বিশেষ কিছু চিন্তার প্রয়োজন হয় না। এ এক প্রকারের মনোবৃত্তি। শরীরের সমুদয় জ্ঞান-সাহায্য-বিরহিতপ্রতিক্রিয়াগুলিই (Reflex-action • ) এই শ্রেণীর মনোবৃত্তির অন্তর্গত। ইহা হইতে উচ্চতর আর এক শ্রেণীব মনোবৃত্তি আছে, উহাকে জ্ঞানপূর্বক বা সজ্ঞান মনোবৃত্তি (conscious) বলা যাইতে পারে। আমি যুক্তি তর্ক করি, বিচার করি, চিন্তা করি, সকল বিষয়ের দু দিক আলোচনা করি। কিন্তু ইহুতেই সমুদয় মনোবৃত্তি ফুরাইল না। আমরা জানি, যুক্তি বিচার অতি ক্ষুদ্র সীমার মধ্যে বিচরণ করে। উহা আমাদিগকে কিয়দব পৰ্য্যন্ত লইয়া যাইতে পাবে, তাহার উপর উহার আর অধিকার নাই। যে স্থানটুকুর ভিতর উহা ঘুরিয়া বেড়ায়, তাহ অতি অল্প—অতি সঙ্কীর্ণ। কিন্তু ইহাও দেখিতে পাইতেছি, নানাবিধ বিষয় যাহা উহার অধিকারের বহির্ভূত, তাহাও উহার ভিতর আসিয়া পড়িতেছে। ধূমকেতু, সৌর জগতের অধিকাবের অন্তভূত না হইলেও যেমন কখনকথন উহার ভিতর আসিয়া পড়ে ও আমাদের দৃষ্টিগোচব হয়, সেইরূপ অনেক তত্ত্ব যাহা আমাদের যুক্তির অধিকারের বহির্ভূত, তাহাও উহার অধিকারের ভিতর আসিয়া পড়ে । ইহাও নিশ্চয় যে, উহারা ঐ সীমার বহির্দেশ হইতে আসিতেছে, বিচার শক্তি কিন্তু ঐ সীমা ছাড়াইয়। • বাহিরের কোনরূপ উত্তর্জনীয় শরীরের কোন যন্ত্র সময়ে সময়ে জ্ঞানের কোন সহায়তা না লইয়া অপনি কাৰ্য্য করে, সেই কাৰ্য্যকে reflex-action বলে ৯ 86t