এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণ স্বরূপতঃ কোন ভেদ নাই। ঐ টেবিলটি অনন্ত জড়রাশির এক বিন্দুস্বরূপ আর আমি উহার অপর বিন্দু। প্রত্যেক সাকার বস্তুই ষেন’ এই অনন্ত জড়সাগরের আবৰ্ত্তস্বরূপ। আবৰ্ত্তগুলি আবার সৰ্ব্বদা একরূপ থাকে না। মনে কর, কোন স্রোতস্বিনীতে লক্ষলক্ষ আবৰ্ত্ত রহিয়াছে ; প্রতি আবর্তে, প্রতি মুহূৰ্ত্তেই নুতন জগবাশি আসিতেছে, কিছুক্ষণ ঘুরিতেছে, আবার অপর দিকে চলিয়া যাইতেছে ও নুতন জলকণাসমূহ তাহার স্থান অধিকার করিতেছে। এইজগৎও এইরূপ নিযুত পরিবর্তনশীল জড়রাশি মাত্র, আমরা উহার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবৰ্ত্তস্বরূপ। কতকগুলি ভূতসমষ্টি এই জগৎরূপ মহা আবৰ্ত্তেব মধ্যে প্রবেশ করিল, কিছুদিন ঐ আবৰ্ত্তে ঘুবিয়া হয় ত মানব-দেহে প্রবেশ কবিল, আবার হয় ত উহা কোন তির্যক্‌জাতীয় প্রাণীর রূপ ধাবণ করিল, আবার হয় ত কয়েক বৎসর পরে খনিজ নামে আর এক প্রকার আবর্তের আকার ধারণ করিল। ক্রমাগত পবিবৰ্ত্তন ! কোন বস্তুই স্থির নহে। আমার শরীব, তোমার শবীব বলিয়া বাস্তবিক কোন বস্তু নাই ঐরূপ বলা কেবল কথার কথা মাত্র । এক অখণ্ড জড়-রাশি মাত্র বিরাজমান রহিয়াছে। উহার কোন বিন্দুর নাম চন্দ্র, কোন বিন্দুর নাম স্বৰ্য্য, কোন বিন্দু মচুন্য, কোন বিন্দু পৃথিবী, কোন বিন্দু বা উদ্ভিদ, অপর বিন্দু হয় ত কোন খনিজ পদার্থ। ইহার কোনটিই সৰ্ব্বদা একভাবে থাকে না, সকল বস্তুই সর্বদাই পরিণাম প্রাপ্ত হইতেছে ; জড়ের একবায়ু সুশ্লেষণ আবার বিশ্লেষণ চলিতেছে। অন্তর্জগৎ সম্বন্ধেও এই একই কথা। জগতের সমুদয় বস্তুই ইথার’ হইতে উৎপন্ন, স্বতরাং ইহাকেই সমুদয় জড়বস্তুর প্রতিনিধিস্বরূপ