এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ তোমাদের সহজেই সন্দেহ হইতে পারে যে, শ্বাসের দ্বারা সমুদয় শরীর পূর্ণ করিব কিরূপে ? বাস্তবিক ইহা অমুবাদকেরই দোষ । দেহের সমুদয় ভাগকে, প্রাণ অর্থাৎ এই জীবনী-শক্তি দ্বারা পূর্ণ করা যাইতে পারে, আর যখনই তুমি ইহাতে কৃতকাৰ্য্য হইবে, তখনই সমগ্র শরীরটি তোমার বশে আসিবে। দেহের সমুদয় ব্যাধি, সমুদয় দুঃখ, তোমার ইচ্ছাধীন হইবে। শুদ্ধ ইহাই নহে, তুমি অপরের শরীরের উপরেও ক্ষমত বিস্তারে কৃতকাৰ্য্য হইবে। জগতের মধ্যে ভাল মন্দ যাহা কিছু আছে, সবই সংক্রামক । তোমার শরীর্যন্ত্র, মনে কর, যেন কোন বিশেষ প্রকার স্বরে বাধা আছে— তোমার নিকট যে ব্যক্তি থাকিবে, তাহার ভিতরও সেই মুর—. সেই ভাব আসিবাব উপক্রম হইবে। যদি তুমি সবল ও মুস্থকার হও, তবে তোমার সমীপস্থিত ব্যক্তিগণেরও যেন একটু সুস্থ ভাব, একটু সবল ভাব আসিবে। আর তুমি যদি রুগ্ন বা দুৰ্ব্বল হও, তবে তোমার নিকটবৰ্ত্তী অপর লোকে ও যেন একটু রুগ্ন ও দুর্বল হইতেছে, দেখিতে পাইবে । তোমার দৈহিক কম্পনটি যেন অপরের ভিতর সঞ্চারিত হইয়া যাইবে । যখন একজন লোক অপরকে রোগমুক্ত করিবার চেষ্টা করে, তখন তাহার, প্রথম চেষ্টা এই হয় যে আমার স্বাস্থ্য অপরে সঞ্চারিত করিয়া দিব। ইহাই আদিম চিকিৎসা প্রণালী। জ্ঞাতসারেই হউক, আর অজ্ঞাতসারেই হউক, একজন ব্যক্তি আর একজনের দেহে স্বাস্থ্য সঞ্চারিত করিয়া দিতে পারেন। খুব বহুবানু ব্যক্তি যদি কোন দুর্বল লোকের নিকটে সদা সৰ্ব্বদা বাস করে, তাহ হইলে সেই দুৰ্ব্বল ব্যক্তি কিঞ্চিৎ পরিমাণে সবল হইবেই হইবে। এই বুলসঞ্চারণ é२