এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ ভিতর অতিশয় উচ্চ কম্পন উৎপাদন করিতেন এবং উহাতেই র্তাহাদিগকে সমুদয় জগতের উপর প্রভার বিস্তার করিবার শক্তি দিয়াছিল। জগতে যত প্রকার তেজঃ বা শক্তির বিকাশ দেখা যায়, সমুদয়ই প্রাণের সংষম হইতে উৎপন্ন হয়। মানুষে ইহার । প্রকৃত তথ্য ন জানিতে পারে, কিন্তু আর কোন উপায়ে ইহার ব্যাখ্যা হয় না। . তোমার শরীরে এই প্রাণ কখন এক দিকে অধিক, অন্ত দিকে অল্প হইয় পড়ে। এইরূপ প্রাণের অসামঞ্জস্তেই রোগের উৎপত্তি। অতিরিক্ত প্রাণটুকুকে সরাইয় যেখানে প্রাণের অভাব হইয়াছে তথাকার অভাবটুকু পূৰণ করিতে পারিগেই রোগ আরোগ্য হয় । কোথায় অধিক, কোথায় বা অল্প প্রাণ আছে, ইহা জ্ঞানীও প্রাণারামের অঙ্গ। অনুভব শক্তি এতদূর স্বল্প হুইবে যে, মন বুঝিতে পারিবে, পদাঙ্গুষ্ঠে অথবা হস্তস্থ অঙ্গুলিতে যতটুকু প্রাণ আবশ্বক, তাহা নাই, আর উহা ঐ প্রাণের অভাব পরিপূরণ করিতেও সমর্থ হইবে। এইরূপ প্রাণায়ামের নানা অঙ্গ আছে। ঐগুলি ধীরে ধীরে ও ক্রমশঃ শিক্ষা করিতে হইবে। ক্রমে দেখিতে পাওয়া যাইবে যে, বিভিন্নরূপে প্রকাশিত প্রাণের সংযম ও উহাদিগকে বিভিন্ন প্রকারে চালনা করাই রাজযোগের একমাত্র লক্ষ্য । ৰখন কেহ নিজ সমুদয় শক্তিগুলিকে সংযম করিতেছে, তখন সে নিজ দেহস্থ প্রাণকেই সংযম করিতেছে। যখন কেহ ধ্যান করে, সেও প্রাণকেই সংযম করিতেছে, বুঝিতে হইবে। মহাসমুদ্রের দিকে দৃষ্টিপাত কৰিলে দেখিতে পাইবে, তথায় পৰ্ব্বততুল্য বৃহৎ তরঙ্গসমূহ রহিয়াছে, ক্ষুদ্র ক্ষুত্র তরঙ্গ রহিয়াছে, .অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর তরঙ্গ রহিন্ধছে, আবার ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র বুদ্ধ,দও ●も