এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ. যেরূপ দেখায়, মেরু-মজ্জা কতকটা সেইরূপ। উহার বামভাগ ইড়া, দক্ষিণ দিক পিঙ্গল, আর যে শূন্ত নাগী মেরুমজার ঠিক মধ্যস্থল দিয়া গিয়াছে, তাঁহাই স্বযুদ্ধ। মেরু-মজ্জা কটিদেশস্থ মেরুদণ্ডাংশস্থিত কতকগুলি অস্থির পরেই শেষ হইয়াছে, কিন্তু তাহ হইলেও একটি সুস্থঙ্ক স্বত্রবৎ পদার্থ বরাবর নিম্নে নামিয়া আসিয়াছে। সুষুম্ন নালী সেখানেও অবস্থিত, তবে ঐ স্থানে খুব স্বল্প হইয়াছে মাত্র । নিম্নদিকে ঐ নালীর মুখ বন্ধ থাকে। উহার নিকটেই কটিদেশস্থ স্নায়ুঞ্জাল (Sacral plexus) safas আজকালকার শরীর-বিধান শাস্ত্রের ( Physiology) মতে, উহ ত্রিকোণাকুতি। ঐ সমুদয় নাড়ীজালের কেন্দ্র মেরু-মজ্জার মধ্যে অবস্থিত; উহাদিগকেই যোগিগণেব ভিন্ন ভিন্ন পদ্মশ্বরূপ গ্রহণ করা যাইতে পারে । যোগীরা বলেন, সৰ্ব্বনিয়ে মূলাধার হইতে আরম্ভ করিয়া মস্তিষ্কে সহস্রার বা সহস্রদল পদ্ম পৰ্য্যন্ত কতকগুলি কেন্দ্র আছে। যদি আমবা ঐ পদ্মগুলিকে পূৰ্ব্বোক্ত নাড়াজাল (Plexus) বলিয়া মনে কবি, তাহা হইলে আজকালকার শরীর-বিধান-শাস্ত্রের দ্বারা অতি সহজে যোগিদিগের কথার ভাব বুঝা যাইবে । আমরা জানি আমাদের স্নায়ুমধ্যে দুই প্রকারের প্রবাহ আছে ; তাহদের একটিকে অস্তমুখী ও অপরটিকে বহিমুখী, একটিকে জ্ঞানাত্মক অপরটিকে গত্যাত্মক, একটিকে কেন্দ্রাভিমুখী ও অপরটিকে কেন্দ্রাপসারী বলা বাইতে পারে। উহাদের মধ্যে এটি মস্তিষ্কাভিমুখে সংবাদ বহন করে, অপরটি মস্তিষ্ক হইতে বাহিরে সমুদয় অঙ্গে সংবাদ লইয়া যায়। ঐ প্রবাহগুলি কিন্তু পরিণামে মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত। $38