এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণের আধ্যাত্মিক রূপ অলৌকিক বস্তু-জাত দর্শন করেন, তখন তিনি উহা চিত্তাকাশে দেখিতে পান। আর যখন আমাদের অনুভূতি বিষয়শূন্ত হয়, যখন আত্মা নিজের স্বরূপে প্রকাশিত হয়েন, তখন উহার নাম চিদাকাশ । যখন কুণ্ডলিনীশক্তি জাগরিত হইয়া সুষুম্বা নাড়ীতে প্রবেশ করেন, তখন যে সকল বিষয় অনুভূত হয়, তাহা চিত্তাকাশেই হইয়া থাকে। যখন তিনি ঐ নালীব শেষ সীমা মস্তিষ্কে উপনীত হয়েন, তখন চিধাকাশে এক বিষয়শূন্ত জ্ঞান অনুভূত হইয়া থাকে। -- এইবার তাড়িতের উপমা আবার লওয়া মাক। আমরা দেখিতে পাই যে, মানুষ কেবল তার-যোগে কোন তাড়িতপ্রবাহ একস্থান হইতে অপর স্থানে চালাইতে পাবে। কিন্তু প্রকৃতি ত র্তাহার নিজের মহা মহা শক্তি-প্রবাহ প্রেরণ করিতে কোন তাবের সাহায্য লন না । ইহাতে বেশ বুঝা যায় যে, কোন প্রবাহ চালাইবার জন্য তা ের বাস্তবিক কোন আবশ্যক নাই। তবে কেবল আমরা উহার ব্যবহার ত্যাগ কবিয়া কাৰ্য্য করিতে পারি না বলিয়াই, আমাদের তাবের আবিস্তক হয়। তাড়িতপ্রবাহ যেমন তারের সাহায্যে বিভিন্ন দিকে প্রেরিত হয়, ঠিক তদ্রুপভাবে বহিৰ্ব্বিষয় হইতে যে জ্ঞানপ্রবাহ মস্তিষ্কে অথবা মস্তিষ্ক হইতে যে কৰ্ম্মপ্রবাহ বহির্দেশে প্রেরিত হইতেছে, তাহা স্বায়ুতত্ত্ব-রূপ তারের সাহায্যেই হইতেছে। মেরুমজামধ্যস্থ জ্ঞানাত্মক ও কৰ্ম্মাত্মক স্নায়ুগুচ্ছস্তম্ভই যে গিগণের ইড়া ও পিঙ্গল নাড়ী। প্রধানতঃ ঐ নাড়ীদ্বয়ের ভিতর দিয়াই, পূৰ্ব্বোক্ত অস্তমুখী ও বহির্মুখী.শক্তিপ্রবাহদ্বয় চলাচল করিতেছে। কিন্তু কথা হইতেছে, و به