এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ উপায় শিক্ষা দিলেই তাঁহাকে যথার্থ সাহায্য করা হয়, তাহাতেই • তাহার শিক্ষা ও উপকার হইয় থাকে। যখন মন ইঞ্জিয়-নামধেয় ভিন্ন ভিন্ন শক্তিকেন্দ্রে সংযুক্ত হয়, তখনই সমুদয় বাহ ও আভ্যন্তরীণ কৰ্ম্ম হইয়া থাকে। ইচ্ছাপূৰ্ব্বকই হউক, আর অনিচ্ছাপূৰ্ব্বকই হউক, মানুষ নিজ মনকে ভিন্ন ভিন্ন ( ইঞ্জিয়নামধেয়) কেন্দ্রগুলিতে সংলগ্ন করিতে বাধ্য হয়। এই জন্তই মানুষ নানাপ্রকার দুষ্কৰ্ম্ম করে, কবিয়া শেষে কষ্ট পায়। মন যদি নিজের বশে থাকিত, তবে মানুষ কখনই অষ্ঠায় কৰ্ম্ম করিত না। মনঃসংযম করিবার ফল কি ? ফল এই যে, মন সংষত হইয়া গেলে, সে আব তখন আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন ইন্দ্ৰিয়রূপ বিষয়ানুভূতি-কেন্দ্রগুলিতে সংযুক্ত কবিবে না। তাহা হইলেই সৰ্ব্বপ্রকার ভাব ও ইচ্ছা আমাদের বশে আসিবে। এ পৰ্য্যস্ত বেশ পরিষ্কার বুঝা গেল। এক্ষণে কথা এই, ইহা কাৰ্য্যে পরিণত করা কি সম্ভব ? ইহা সম্পূর্ণরূপেই সম্ভব। তোমরা বৰ্ত্তমানকালেও ইহার কতকটা আভাস দেখিতে পাইতেছ ; বিশ্বাস-বলে আরোগ্যকারিসম্প্রদায় দুঃখ, কষ্ট, অশুভ ইত্যাদির অস্তিত্ব একেবারে অস্বীকার করিতে শিক্ষা দিতেছেন। অবশু ইহাদের দর্শন কতকটা শিরোবেষ্টন করিয়া নাসিক প্রদর্শনের ন্যায়। কিন্তু উহাও একরূপ যোগ, কোনরূপে উই তাহারা আবিষ্কার করিয়া ফেলিয়াছেন। যে সকল স্থলে তাহারা দুঃখ কষ্টের অস্তিত্ব অস্বীকার করিতে খিক্ষা দিয়া লোকের দুঃখ দূর করিতে কৃতকাধ্য হন, বুঝিতে হইবে, সে সকল স্থলে, তাহার প্রকৃতপক্ষে প্রত্যাহারেরই কতকটা শিক্ষা দিয়াছেন, কারণ, ԵrԳ