পাতা:রাজসিংহ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । *。 হইয়াছে, একত্রে যাই চলুন।” ব্ৰাক্ষণ আনন্দিত হইয়া তাহদিগের সঙ্গী হইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “উদয়পুর আর কতদূর , বণিকেরা বলিল, “নিকট। আজ সন্ধ্যায় মধ্যে উদয়পুর পৌঁছিতে পারিব । এ সকল স্থান রাণার রাজ্য ।” এই রূপ কথোপকথন করিতে করিতে তাহারা চলিতে ছিল। পাৰ্ব্বত্য পথ, অতিশয় হুরারোহণীয়, এবং দুরবরোহণ† সচরাচর বসতিশূন্ত । কিন্তু এই দুর্গম পথ প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছিল—এখন সমতল ভূমিতে অবরোহণ করিতে হইবে। পথিকেরা এক অনিৰ্ব্বচনীয় শোভাময়, অধিত্যকায় প্রবেশ করিল । দুই পার্শ্বে অনতি উচ্চ পৰ্ব্বতদ্বয়, হরিৎ বৃক্ষাদিশোভিত হইয়া আকাশে মাথা তুলিয়াছে ; উভয়ের মধ্যে কলনাদিনী ক্ষুদ্র প্রবাহিনী নীলকাচপ্রতিম সকেন জলপ্রবাহে উপলদল ধৌত করিয়৷ বনাসের অভিমুখে চলিতেছে । তটিনীর ধার দিয়া মনুষ্যগম্য পথের রেখ পড়িস্থাছে । সেখানে নামিলে, আর কোন দিক্ হইতে কেহু পথিককে দেখিতে পায় না ; কেবল পৰ্ব্বতদ্বয়ের উপর হইতে দেখা যায় । 够 সেই নিভৃতস্থানে অবরোহণ করিয়া, একজন বণিকৃ ব্ৰাহ্মণকে ' “তোমার ঠাই টাকা কড়ি কি আছে ?” - ব্রাহ্মণ প্রশ্ন শুনিয়া চমকিত ও ভীত হইলেন। ভাবিলেন বুকি এখানে দহ্যর বিশেষ ভয়, তাই সতর্ক করিবার জন্য বণিকেরা জিজ্ঞাসা করিতেছে । দুৰ্ব্বলের অবলম্বন মিথ্যা কথা, ব্রাহ্মণ বলিলে, “আমি ভিক্ষুক ব্রাহ্মণ আমার কাছে কি থাকিবে ?”