পাতা:রাজসিংহ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । *○ • এই বলিয়া দস্থ্যগণ মিশ্রষ্ঠাকুরের হস্ত পদ এরং মুখ তাহার পরিধেয় বস্ত্রে দৃঢ়তর বাধিয়া পৰ্ব্বতের সামুদেশস্থিত একটা ক্ষুত্র বৃক্ষের কাণ্ডের সহিত বাধিল । পরে চঞ্চলকুমারীদন্তু রত্নবলয় ও পত্র প্রভৃতি লইয়৷ ক্ষুদ্র নদীর তীরবর্তী পথ অবলম্বন করিয়া পৰ্ব্বতান্তরালে অদৃপ্ত হইল। সেই সময়ে পৰ্ব্বতের উপরে দঁাড়াইয়া একজন অশ্বারোহী তাহাদিগকে দেখিল । তাহারা অশ্বারোহীকে দেখিতে পাইল না, পলায়নে ব্যস্ত । - দস্থ্যগণ পাৰ্ব্বতীয়া প্রবাহিণীর তটবৰ্ত্তী বনমধ্যে প্রবেশ করিয়া অতি দুর্গম ও মনুষ্য সমাগমশুষ্ক পথে চলিল। এই রূপ কিছু দূর গিয়া, এক নিভৃত গুহামধ্যে প্রবেশ করিল। গুহার ভিতর খাদ্য দ্রব্য, শয্যা, পাকের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সকল প্রস্তুত ছিল । দেখিয়া বোধ হয়, দসু্যগণ কখন কখন এই গুহামধ্যে লুকাইয়া বাস করে। এমন কি কলসীপুর্ণ জল পৰ্য্যন্ত ছিল । দ্বস্থাগণ সেইখানে উপস্থিত হইয়া তামাকু সাজিয়া খাইতে লাগিল। এবং এক একজন পাকের উদ্যোগ করিতে লাগিল । একজন বলিল, “মাণিকলাল, রঙ্গুই পরে হইবে। প্রথমে মালের কি ব্যবস্থা হইবে, তাহার মীমাংসা করা যাউক ” -- মণিকলাল বলিল, “মালের কথাই মাগে হউক।” তখন আশরাফ কুইটি কাটা চারিখও করিল। এক এক জন এক এক খণ্ড লইল । রত্নবলয় বিক্রয় না হইলে ভাগ হইতে পারে ন—তাহা সম্প্রতি অবিভক্ত ছিল । গন্তু দুই খানি কি করা যাইবে, তাহার মীমাংস হুইতে লাগিল ৷ দল