অষ্টম পরিচ্ছেদ । Rస তুমি উহা মারিতে পারবে না—এই দেখ।” এই কথা বলিতে না বলিতে রাজপুত র্তাহার হাতের খালি পিস্তল হ্যের দক্ষিণ হস্তের মুষ্টি লক্ষ্য করিয়া ছুড়িয়া মারিলেন ; দারূণ প্ৰহারে তাহার হাতের বর্ষ খসিয়া পড়িল। রাজপুত তাহা তুলিয়া লইয়া, মাণিকলালের চুল ধরিলেন। এবং অসি উত্তোলন করিয়া তাহার মস্তক ছেদনে উদ্যত হইলেন । মাণিকলাল তখন কাতরস্বরে বলিল, “মহারাজাধিরাজ ! আমার জীবনদান করুন-রক্ষা করুন—আমি শরণাগত!” রাজপুত, তাহার কেশ ত্যাগ করিলেন,তরবারি নামাইলেন । “তুই মরিতে এত ভীত কেন ?” মাণিকলাল বলিল, “আমি মরিতে ভীত নহি । কিন্তু আমার একটি সাতবৎসরের কন্স আছে; সে মাতৃহীন, তাহার । আর কেহ নাই—কেবল আমি । আমি প্রাতে তাহাকে জাহার করাইয়া বাহির হইয়াছি, আবার সন্ধ্যাকালে গিয়া জাহার দিব, তবে সে খাইবে. আমি তাহাকে রাখিয়া মরিতে পারিতেছি না। অামি মরিলে সে মৱিবে । আমাকে মারিভুে, হয়, আগে তাহাকে মারুন ।” 象 স্বস্থা কাদিতে লাগিল, পরে চক্ষের জল মুছিয়া বলিতে লাগিল, “মহারাজাধিরাজ। আমি আপনার পাদস্পর্শ কীি শপথ করিতেছি, আৰু কনু হুজু,কবি না।. চিরকাল আপনার দাসত্ব করিব জার যদি জীবন থাকে, একদিনু না । একদিন এ ক্ষুদ্র ভূত হইতে উপকাৰু হইবে।” বৃজিপুত বলিলেন, “তুমি আমাকে চেন ?”
পাতা:রাজসিংহ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
