পাতা:রাজসিংহ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টমপরিচ্ছেদ । es সিংহ আকবরশাহকেও মধ্যদেশ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিয়াছিলেন। আপটু সেই সিংহাসনে আসীন-আপনি সেই ਸੀ, সেই প্রতাপের বংশধর-আপনি কি তাহাদিগের অপেক্ষা হীনবল ? শুনিয়াছি নাকি মহারাষ্ট্রে এক পাৰ্ব্বতীয় দহ আলমগীরকে পরাভূত করিয়াছে—সে আলমগীর কি রাজস্থানের রাজেন্ত্রের কাছে গণ্য ? আপনি বলিতে পারেন “আমার বাস্থতে বল আছে—কিন্ধ থাকিলেও আমি তোমার জন্য এত কষ্ট কেন করিব ? আমি কেন অপরিচিত মুখরা কামিনীর জন্য প্রাণিহত্যা করিব ?-- ভীষণ সমরে অবতীর্ণ হইব ?” মহারাজ ! সৰ্ব্বস্ব পণ করিয়া শরণাগতকে রক্ষণ করা কি রাজধৰ্ম্ম নহে ? সৰ্ব্বস্ব পণ, করিয়া কুলকামিনীর রক্ষা কি রাজপুতের ধৰ্ম্ম নহে ?” এই পৰ্য্যস্ত পত্ৰখানি রাজকন্যার হাতের লেখা । বাকি ষে টুকু, সে টুকু তাহার হাতের নহে। নিৰ্ম্মলকুমারী লিখিয়াদিয়াছিল ; রাজকন্তু তাহা জানিভেল কি না আমরা • ৰলিতে পারি না । সে কথা এই— “মহারাজ ! আর একটা কথা বলিতে লজ্জা করে, কিন্তু না ৰলিলেও নহে। আমি এই বিপক্ষে পড়িয়া পণ করিয়াছি, যে, যে বীর আমাকে মোগল হস্ত হইতে রক্ষা করিবেন, তিনি •ৰষ্টি রাজপুত হয়েন, আর যদি আমাকে স্বথাশাস্ত্র গ্রহণ করেন তবে আমি তাহার দামী হইব। হে বীরশ্ৰেষ্ঠ। যুদ্ধে লাভ ৰীরের ধৰ্ম্ম । সমগ্র ক্ষত্ৰকুলের সাইভ যুদ্ধ করিয়, পাণ্ডৰ দ্ৰৌপদলাভ করিয়াছিলেন। কাশীরাজ্যে সমবেত দুর্মগুলসমক্ষে আপন বর্ঘ্য প্রকাশ কীি ঈম্বদেৰ দ্বাৰকাগণকে.