করিয়া আহারাদি সমাপনান্তে, কন্যাটিকে ক্রোড়ে লইল। তখন মাণিললাল ঘরে চাবি দিয়া কন্যা ক্রোড়ে নিষ্ক্রান্ত হইল।
মাণিকলালের কেহ ছিল না—কেবল এক পিসীর ননদের মায়ের খুল্লতাতপুত্ত্রী ছিল। সম্বন্ধ বড় নিকট—"সইয়ের বউয়ের বকুলফুলের—” ইত্যাদি। সৌজন্যবশতই হউক আর আত্মীয়তার সাধ মিটাইবার জন্যই হউক—মাণিকলাল তাহাকে পিসী বলিয়া ডাকিতেন।
মাণিকলাল কন্যা লইয়া সেই পিসীর বাড়ী গেল। ডাকিল,
“পিসী গা?”
পিসী বলিল, “কি বাছা মাণিকলাল! কি মনে করিয়া?”
মাণিকলাল বলিল, “আমার এই মেয়েটি রাখিতে পার পিসী?”
পিসী। কতক্ষণের জন্য?
মাণিক। এই দুমাস ছ মাসের জন্য?
পিসী। সে কি বাছা! আমি গরীব মানুষ—মেয়েকে খাওয়াব কোথা হইতে?
মাণিক। কেন পিসী মা, তুমি কিসের গরীব? তুমি কি নাতিনীকে দুমাস খাওয়াতে পার না?
পিসী। সে কি কথা? দুমাস একটা মেয়ে পুষিতে যে এক মোহর পড়ে।
মাণিক। আচ্ছা আমি সে এক মোহর দিতেছি—তুমি মেয়েটিকে দুমাস রাখ। “আমি উদয়পুরে যাইব—সেখানে আমি রাজসরকারে বড় চাকরি পাইয়াছি।”
এই বলিয়া মাণিকলাল, রানার প্রদত্ত আশরাফির মধ্যে