করিল, খুঁজিয়া দেখি, কিন্তু আবার ভাবিল, রাজা ভিন্ন অর কোন রাজপুত আমাকে চিনে না; আমাকে মোগলের চর বলিয়া হঠাৎ কোন অদৃশ্য রাজপুত মারিয়া ফেলিতে পারে। এই ভাবিয়া সে আর অগ্রসর না হইয়া, সেই স্থানে দাঁড়াইয়া বলিল, “মহারাণার জয় হউক।”
এই শব্দ উচ্চারিত হইবা মাত্র চারি পাঁচ জন শস্ত্রধারী রাজপুত অদৃশ্য স্থান হইতে গাত্রোত্থান করিয়া দাঁড়াইল, এবং তরবারি হস্তে মাণিকলালকে কাটিতে আসিতে উদ্যত হইল।
একজন বলিল, “মারিও না।” মানিকলাল দেখিল,স্বয়ং রাণা।
রাণা বলিল, “মারিও না। এ আমাদিগের স্বজন।” যোদ্ধৃগণ তখনই আবার লুক্কায়িত হইল।
রাণা মাণিককে নিকটে আসিতে বলিলেন, সে নিকটে আসিল। এক নিভৃত স্থলে তাহাকে বসিতে বলিয়া স্বয়ং সেইখানে বসিলেন। রাজা তখন তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,
“তুমি এখানে কেন আসিয়াছ?”
মাণিকলাল বলিল, “প্রভু যেখানে ভৃতা সেইখানে যাইবে। বিশেষ যখন আপনি এরূপ বিপজ্জনক কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তখন যদি ভৃতা কোনও কার্য্যে লাগে, এই ভরসায় আসিয়াছে। মোগলেরা দুই সহস্র—মহারাজের সঙ্গে একশত। আমি কি প্রকারে নিশ্চিন্ত থাকিব? আপনি আমাকে জীবনদান করিয়াছেন—একদিনেই কি তাহা ভুলিব?”
রাণা জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি যে এখানে আসিয়াছি তুমি কি প্রকারে জানিলে?”
মাণিকলাল তখন আদ্যোপান্ত সকল বলিল। শুনিয়া