পাতা:রাজাবলি - শ্যামধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৯০ )

পাঠাইলেন যে তোমরা আমার সহিত সাক্ষাৎ করহ তাহাতে আলি ভাস্কর কহিলেন যে যদি সন্ধিকরা কর্ত্তব্য হয় তবে এক স্থান নির্ণয় করুন উভয়ে তথায় সাক্ষাৎ হইবেক কিন্তু উভয় দলের সৈন্য খাড়া থাকিবেক তাহাতে জানকীরাম প্রথমত সহরের বাহিরে একভারি তাম্বু খাড়া করাইয়া তাহাতে কতক অস্ত্র গুপ্তভাবে রাখিয়া মহারাষ্ট্র দিগের সংবাদ দিয়া আপনিও তথায় আইলেন কিঞ্চিৎ কাল নবাব মিথ্যা কথোপকথন করিয়া আপন২ লোককে ইঙ্গিত করত ছোট এক হাতিতে চড়িয়া গেলেন নবাবের লোকেরা তাম্বুর দড়ি কাটিয়া দিল তাহাতে তাম্বু পড়িয়াগেল মহারাষ্ট্রেরা তাহাতে চাপা পড়িল তাহার পর নবাবের লোকেরা সরদার দিগকে কাটিয়া ফেলিল এইরূপ কপটে সকল মহারাষ্ট্র সরদার মারা পড়িলে সৈন্য পলাইয়া গেল এইরূপ হওয়াতে বরগী কিছু দিন স্থির হইয়াছিল।

 তাহার পর উড়িষ্যার শুবেদার আবদুসোবহান মরিলে মহারাজ দুর্ল্লভরামকে উপযুক্ত জানিয়া উক্ত পদে নিযুক্ত করিলেন কতক দিনপরে নাগপুর হইতে মহারাষ্ট্রেরা কতক সরদার ফৌজসমেত উড়িষ্যায় আসিয়া দুর্ল্লভরামের সহিত প্রীতি করিয়া নাগপুর লইয়া যাইয়া তথায় কএদ করিলেক নবাব জানকীরামকে ভাল বাসিতেন মতে অত্যন্ত খেদিত হইয়া ৩০০০০০ তিন লক্ষ টাকা পাঠাইয়া দিয়া বাঙ্গলায় চৌত হিস্যা দেওয়া স্বীকার করিয়া দুর্ল্লভরামকে খালাস করিয়া আনিলেন।