( ১০১ )
তাহার পর যখন আলি গোহর শাহাজাদা পাটনায় পঁহুছিলেন তখন রাজা রামনারায়ণ নাএব শুবা নবাব জাফরালি খাঁর অনুমতিতে তাঁহার সহিত যুদ্ধ করণে উদ্যোগী হইলেন এবং নবাব মিরন যুদ্ধ করণসময়ে পাটনায় উপস্থিত হইলেন শাহাজাদা ইহাঁদিগের সহিত যুদ্ধকরা অকর্ত্তব্য বিবেচনা করিয়া ঝাড়ির পথদিয়া বাঙ্গলায় আসিয়া পঁহুছিলেন।
তৎপরে নবাব মিরন আজিমাবাদ হইতে মুরশীদাবাদে আসিতেছিলেন পথে রাজমহলের নিকট নিমখহারামির প্রতি ফল স্বরূপ বজাঘাতে মারা পড়িলেন মিরনের যেখানে ডেরা পড়িত সেখানে কিছু২ তণ্ডুল খয়রাত করিতেন ঐ মিরন যে দিন বজাঘাতে মরেন সেদিন সাতবার ডঙ্কা দেন তথাপি একটিও কাঙ্গালি আইসে নাই মিরন মরিলে তাঁহার গোরের উপর দই বজ্রাঘাত হয়।
নবাব জাফরালি খাঁ নবাবের মত ছিলেন মিরন শুবেদারী করিতেন মিরন সেরাজদ্দৌলার ন্যায় প্রতাপান্বিত ছিলেন তাঁহার ঐ রূপ মরণ হইল। তাহার পর কাশমালি খাঁ জাফর আলি খাঁর জামাতা তাঁহাকে রঙ্গপুর অঞ্চলের মোক্তার করেন পুনরায় তাঁহাকে আনাইয়া সকল কর্ম্মের মোক্তার করিলেন সেই সময়ে জাফরালি খাঁর কোন অপবাদ ইংরাজেরদের নিকট প্রকাশ হইল সেই অপরাধ মার্জনার্থ কাশমালি খাঁকে কলিকাতায় পাঠাইয়াদিলেন কাশমালি খাঁ কলিকাতায় আসিয়া জাফরালি খাঁর নানা প্রকার চুক্লি করিলেন এবং ঐ