পাতা:রাজাবলি - শ্যামধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১০৪ )

সাহেবলোকেরা ভীত হইয়া শুরগিল খাঁ আরমানীকে বাহক করিয়া বাহ্যে শিষ্টাচার করত এবং শুরগিল খাঁকে সপক্ষ করিয়া নবাব জাফরালি খাঁর সহিত ও মহারাজ দুর্ল্লভরামের সহিত পরামর্শ করিয়া বিলাত হইতে হুকুম ও ফৌজ আনাইয়া এবং কলিকাতায় অনেক সংগ্রহ করত কাশমালির সহিত যুদ্ধোপক্রম করিতে লাগিলেন নবাব এসংবাদ পাইয়া কলিকাতা ব্যতিরেকে শুবেবাঙ্গলা ও বেহারে যে২ স্থানে ইংরাজ লোকছিল সকলকে একদিনে এক হুকুমে মারিয়া ফেলাইলেন ইহাতেই সাহেব লােকেরা অতিশয় রাগাসক্ত হইয়া নবাব জাফরালি খাঁ ও মহারাজ দুর্ল্লভরামকে সঙ্গে লইয়া প্রথম হুগলিতে নবাবী ফৌজের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া পরাভব করত রাজ মহল পর্য্যন্ত পঁহুছিলেন কাশমালি খাঁ ইংরাজ দিগের সহিত আপন আমলা বর্গের সলা দেখিয়া কএক জন আরমানি সরদার দিগকে নষ্টকরিয়া সর্ব্বসুদ্ধা তথা হইতে উঠিয়া কাশী পর্য্যন্ত গেলেন। নবাব শুজাদ্দৌলা কাশীর রাজা বলবন্ত সিংহের সহিত প্রণয় করিয়া তথাতেই সৈন্য সংগ্রহ করিতে লাগিলেন তাহার পর নবাব উজির সেরাজদ্দৌলাকে অনেক ধনদিয়া সাহায্য চাহিলেন নবাব উজিরও সাহায্য করিতে স্বীকার করিলেন তাহার পর সাহেবলোক বলবন্ত সিংহের সহিত প্রণয় করিয়া বকসর পঁহুছিলেন তথায় উভয় পক্ষে যুদ্ধ হইল কিন্তু নবাব উজির কাশমালির পক্ষে তা দৃশ সাহায্য করিলেন না ইহাতেই কাশমালি খা দুই