( ৬৪ )
থাকিত সকলকে খাসখানায় পাঠাইয়া আপনি ভেজন করিতেন ইহাঁর রাজ্যে প্রজারা বড়ই সুখী ছিল তাঁহার তাজমহল বেগমের গর্ব্ভজাত তিন কন্যা চারি পুত্র ছিল কিছুদিনের পর তাজমহল বেগমের মৃত্যু হইল সেই শোকে বাদশাহ অনেক২ রাজ্য ভোগ ত্যাগ করিলেন ঐ বেগমের ধন কএককোটী টাকা খরচ করিয়া বেগমের এক কবর তৈয়ার করিয়া তাহার নাম তাজমহল রোজা রাখিয়া অবশিষ্ট ধন পুত্রদিগকে বিভাগ করিয়া দিলেন ঐ রোজার খরচ জন্য প্রত্যহ দুই হাজার টাকা নির্ধার্য্য করিয়া ছিলেন নানা দেশের রাজারা আসিয়া শরণাপন্ন হইলেন পরে বাদশাহ আপন চারি পুত্রের মধ্যে আর কুজকে দক্ষিণ দেশ সাসুজাকে পূর্ব্বদেশ মহম্মদ মুরাদকে গুজরাট প্রভৃতি অধিকার দিয়া জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বারা সেকরকে যুবরাজ করিয়া নিকটে রাখিলেন কিছুদিন পরে বাদশাহের মূর্চ্ছারোগ হইল এই কথা যে তিনপুত্র বিদেশাধিকারী ছিলেন তাঁহারা শুনিয়া আসিয়া পরস্পর বিরোধ করিয়া সাসুজা আপনদেশ দ্বারা সেকর ইরান মহম্মদ তাহার সঙ্গে সল করিলেন পরে সকলেই মারা পড়িলেন আরাকুজ রাজধানীতে আসিয়া পিতাকে কএদ করিয়া তক্তে বসিলেন বাদশাহ ঐ কএদেই মরেন।
তাহার পর মহিয়দ্দিন মুহাম্মদ আতরকুযের আলমগীর শাহা বাদশাহ হইলেনে ইহাঁর পিতা বর্ত্তমানে একজলুস