( ৬৯ )
তাহার পর আলমগিরের জ্যেষ্ঠপুত্র বাহাদুর শাহা দিল্লীতে বাদশাহ হইলে আজিম শাহা প্রভৃতি ভ্রাতারা আসিয়া বৈরক্তি করায় যুদ্ধহয় ঐ যুদ্ধে সকলে মারাপড়েন বাহাদুর শাহ। স্বজাতীয় বিদ্যাতে পণ্ডিত ও দাতা ও কবি এবং পণ্ডিত ও কবিদিগের প্রতি অনগ্রহ ছিল এবং সর্ব্বদা আলাপ করিতেন আর উত্তম দাতাছিলেন কোন কার্য্যের কারণ লাহোরে যান তাহাতেই মৃত্যু হয় অতএব ঐ বাদশাহার রাজ্য ভোগ।
তাহার পর বাহাদুর শাহার পুত্র ময়ুদ্দিন জাহাদার শাহা লাহোরের কিল্লায় যাইয়া জলুস করিলেন এবং জোলফেক কর খাকে উজির করাতে অন্য২ ওমরারা মনে২ বিরক্ত হইল পরে হসন আলি খা হাসন আলি খাঁ দুই জনে বাদশাহের ভ্রাতুষ্পত্র মহম্মদ ফররুক সিওরকে আনাইয়া বাদশাহের সহিত যুদ্ধ হেতু যাইতেছিলেন লাহোর হইতে বাদশাহ এই সংবাদ শুনিয়া জুল ফেককর খাকে সঙ্গে করিয়া লাহোর হইতে প্রস্থান করিয়া এলাহাবাদে উভয়ে সাক্ষাৎ হইয়া যদ্ধু হওয়াতে বাদশাহ ভগ্ন হইয়া দিল্লী গেলেন কিন্তু ফররুক সিওর পশ্চাৎ২ দিল্লী যাইয়া বাদশাহকে উজির সমেত নষ্ট করিলেন এবং মহম্মদ ফররুক সিওর আপনি বাদশাহ হইলেন
তাহার পর ফররুক সিওর বাদশাহ এই হসন খাঁকে উজির করিলেন ও হাসন আলি খাকে আমিরন ওমরাও করিলেন