পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । Ꮌ ©Ꮌ হইবে।--হিন্দু-অধিবাসীদের মন্দির সান্নিধ্য হইতে আপসারিত করিতে হইবে । এই উদ্দেশ্য-প্ৰণোদিত হইয়া ফকির সাহেব নগর মধ্যে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন ; এবং পল্লীতে পল্লীতে ঘুরিয়া ধৰ্ম্মের নামে মুসলমানদের আহবান করিতে লাগিলেন । দেশবিখ্যাত নুর কুতুব-উল-আলমের নাম কোন মুসলমান না শুনিয়াছে ? তাহাকে দেখিতে সকলেই ছুটিয়া আসিল । যখন তিনি জনতার মধ্যে দাড়াইয়া গম্ভীর কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, “যদি বেহেস্ত চাও, ইসলাম ধৰ্ম্ম জগতে প্রচার করিতে বাসনা করি, তবে কাফের মারতাহাদের গৃহ লুঠ কর-পৌত্তলিক ধৰ্ম্মের উচ্ছেদ কর।” তখন চঞ্চলমতি পাঠানের দল “মার মারু--হিন্দু মাকু” রবে চীৎকার করিতে করিতে হিন্দুপল্লী অভিমুখে ধাবিত হইল । অস্ত্ৰধারণক্ষম। অধিকাংশ হিন্দুরা নগর ছাড়িয়া মন্দিরপ্রাঙ্গণে সমবেত হইয়াছিল। যাহারা নগরে ছিল তাহরাও অসতর্ক। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ইতিপূৰ্ব্বে কোন কলহ বিবাদ ছিল না। কে জানিত যে, সহসা আগুন জ্বলিয়া উঠিয়া সকল প্রীতিবন্ধন ভক্ষ্মীভূত করিবে ? কে জানিত যে, যাহাদের “চাচা’ ‘দাদা’ বলিয়া নিয়ত সম্ভাষণ