পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। NSDe A রাণী করুণাময়ী বাতায়ন সন্নিধানে দাড়াইয়া অঙ্গুলি সঙ্কেতে আকাশ দেখাইয়া বলিতেছেন, “মেঘ মুক্ত হইয়াছে, রাজা ! বাঙ্গালার ভবিষ্যৎ, প্রকৃতির বুকে চিত্ৰিত দেখা ।” জেনাব খাঁ চিত্ৰ দেখিলেন না-রাণীর পানে চাহিয়া দেখিলেন। দেখিলেন, সুন্দর মূৰ্ত্তি। রাণীর হীরকমণ্ডিত সুবৰ্ণালঙ্কারের উপর সুৰ্য্যরশ্মি প্ৰতিফলিত হইয়া জলিতেছে-উষা সন্নিভ ললাটের উপর বালতপন-কিরণ নিপতিত হইয়া বিছুরিত হইতেছে। আলোক তঁহার দেহকে আশ্রয় করিয়া চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছে। সেই আলোকের মধ্যে।--সেই আলোক রাশিকে নিম্প্রভ করিয়া রাণীর তেজোদীপ্ত দেহ জ্বলিতেছে। তাহার ওষ্ঠপ্রান্তে অতুল উৎসাহ-স্ফীত নাসারান্ধে, বায়ুর গর্জন-- নয়নে অনলকণা-ললাটে তেজ। জেনাব খ্যা মুগ্ধ, স্তম্ভিত নয়নে রাণীর আন্দোলিত দেহ পানে চাহিয়া রহিলেন । রাণী আবার বলিলেন, “মেঘ কাটিয়া গিয়াছে, রাজা ! ওই দেখ, বাঙ্গালার আকাশে নবীন সুৰ্য্য সমুদিত হইতেছে । ওই শোন, জাহ্নবী আবার কলকল নাদে বেদগান করিতেছে-বৃক্ষে বৃক্ষে শাখায় শাখায় পাখীগণ আবার মাঙ্গলিক স্তোত্র গাহিতেছে-বিন্ধ্যাচল আবার সমুন্নত মস্তক তুলিয়া সাহঙ্কারে চাহিয়া দেখিতেছে। ওই