পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । 8)ను রক্তিমাভ কিরণ শুভ্ৰ পতাকাকে মোহালিঙ্গনে জড়াইয়া ধরিয়া অতীতের কত কথা চুপি চুপি বলিতেছে। গণেশ নারায়ণ পতাকামূলে দাড়াইয়া মুগ্ধচিত্তে অতীতের ইতিহাস শুনিতে লাগিলেন । সহসা তঁহার স্মরণ হইল, এমনই সময় একদিন রাণী করুণাময়ী বলিয়াছিলেন,—“বাঙ্গালার আকাশ মেঘমুক্ত হইয়াছে রাজা, আমি মনশ্চক্ষে দেখিতেছি, উদ্বেলিত জাহ্নবীগর্ভে পাঠান-সিংহাসন ডুবিয়া যাইতেছে।” কথাটা স্মরণ মাত্রেই গণেশনারায়ণের দেহ কণ্টকিত হইল ;- তিনি হৰ্ষোৎফুল্ল নয়নে চারিদিকে নেত্ৰপাত করিলেন । দেখিলেন, দূরে অস্পষ্ট-দৃষ্ট ধূমাবরণ পৰ্ব্বতচূড়া মহানন্দার কাল জল উঠাইয়া লইয়া আকাশের গায়-অনন্তের গায় বাঙ্গালার মানচিত্র অঙ্কিত করিতেছে । বৃক্ষরাজি,উপাসকবৃন্দের ন্যায় ভূধরকে বেষ্টন করিয়া তাহার চরণে ফুল পাতা ভক্তি উপহার ঢালিতেছে। শৈলরাজ তাহা কুড়াইয়া লইয়া ইতিহাসের এক একটী পাতা লিখিয়া যাইতেছেন। স্রোতস্বতী কালিন্দী, দুই কূলের দুই গৌড়ের পদ ধৌত করিয়া তাহদের চরণরাজ কুড়াইয়া লইয়া নূতন নগর, নূতন রাজ্য স্থাপন করিতে ছুটিয়া চলিয়াছে। সমীরণ দ্রুতবেগে ছুটিয়া আসিয়া, গভীর