পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । R ( > মন্দাকিনীর কথা শেষ হইতে না হইতে এক ব্যক্তি দগ্ধ প্ৰাচীরের অন্তরাল হইতে ধীরে নিঃশব্দে আসিয়া সুলতানের পিছনে দাড়াইল । সুলতান ভাবিলেন, লোকটা বুঝি তঁহাকে হত্যা করিতে আসিয়াছে। তিনি ভীত হইয়া ছুটিয়া পলাইবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু পারিলেন না-হস্তপদে রঞ্জর বন্ধন-সশব্দে ভূপৃষ্ঠে পড়িয়া 〔引乙司可日 লোকট। তখন সুলতানকে স্কন্ধোপরি উঠাইয়া কুপমুখে ছুটিয়া আসিল । পূৰ্ব্ব হইতে সে একটা ঝোড়া ও রজ্জ্ব সংগ্ৰহ করিয়। রাখিয়াছিল ; এক্ষণে সুলতানকে সেই ঝোড়ার উপর বসাইয়া হা ত পায়ের বাধন কাটিয়া দিল । সুলতানের যে টুকু সাহস ও আশা ছিল তাহাও অন্তহিত হইল ! তিনি চক্ষের জলে গণ্ড বক্ষ প্লাবিত করিয়া যুক্তকরে বলিলেন, “মনুয়া আমি চিরদিন তোমার ক্রীতদাস হইয়া থাকিব—অামায় ক্ষমা কর ।” মন্দাকিনী উত্তর করিল, “আমার হৃদয়ে দয়া, ক্ষমা, স্নেহ, প্রীতি কিছুই নাই ; এই উদ্যানের মত পুড়িয়া সব ছাই হইয়া গিয়াছে।” 酶 সুলতান ক্ৰমে কুপ-পথে অবতরণ করিতে লাগিলেন। নীচে নিবিড় অন্ধকার-দীপ্তি শূন্য, ছিদ্র শূন্ত, অনন্ত অন্ধ