পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৯৬ ] প্রতি ঈর্ষ্যাপরবশ হন। এই ঈর্ষ। কালে গরলোদগারিণী ভূজঙ্গিনীর আকার ধারণ করিয়া বসন্তরায়কে সবংশে দংশন করিয়াছিল। পরে প্রতাপও তাহতে নিজে জর্জরিত হইয় পড়েন। বসুমহাশয়ের মতে আগর যাওয়া হইতেই তাহার স্বচনা হয় । (৩২) সে বর কামিনী নীর নাহারতি। রিত ভালি হেঁ । চির মচরকে গচপর বাবিকে ধারেছ চল্ল চলি হেঁ। রায় বেচারি আপন মনমে । উপমা ও চারি হে। কে ভৃঙ্গ মরোরতি শ্বেত ভুজঙ্গিনী । জাত চলি হেঁ। বহু ভাষাবিং শ্ৰীযুক্ত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ মহাশয় ইহার এইরূপ অর্থ করিয়াছেন,— সে1=সেই, বরকামিনী= শ্রেষ্ঠ রমণী, নীর=জল, নাহারতি=স্নান করিতেছে, রিত=রীতি, ভালি = ভাল, চির== বস্ত্র, মচরকে =নিঙ্গাড়িয়া, গচপর=ঘাটের উপর, বাবিকে = বাপীকে = পুষ্করিণীর, ধারেছ=ধাবে ধারে, চল্ল চলি = চলিয়া যাইতেছে, রায় বেচারি=রায় বেচার, আপন= আপনার, মনমে = মনে, ও চারি=বিচার করিতেছে, ছঙ্গ = সঙ্গ, মরে রতিকে=মূৰ্ত্তির, (অর্থাৎ মূৰ্বিসহ=মূৰ্ত্তিমতী ) জাত চলি=চলিখ যাইতেছে। সেই শ্রেষ্ঠ কামিনী জলে স্নান করিতেছে, এ রীতি ভাল বটে। তাহার পর ঘাটের উপর,বস্ত্রখানি নিঙ্গাড়িয়া পুষ্করিণীর ধারে ধারে চলিয়া বাইতেছে। (সম্ভবতঃ মন্তকের কেশজাল বস্ত্রাবৃত করিয়া লিঙ্গাড়াইয়ে