পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৯৭ ] ছিল ) রায় বেচারা আপনার মনে বিচার করিয়৷ এই উপমা স্থির করিল নে, মূৰ্ত্তিমতী শ্বেত ভুজঙ্গিনী চলিয়া যাইতেছে। বিশ্বকোষ প্রভৃতিতে ইহার পাঠান্তর করা আছে। কিন্তু বসুমহাশয়ের গ্রন্থে যেরূপ শব্দবিন্যাস আছে, বিদ্যাভূষণ মহাশয় তাহারই উপরোক্ত অর্থ করিয়াছেন। (৩৩) তবে আমার নাম প্রদত্ত হয়—প্রতাপাদিতা আগর গমন করিয়া স্বীয় পিতা ও পিতৃব্যের নামের পরিবর্তে আপনিই রাজ্যের সনদ লাভের জন্ত ইচ্ছুক হইয়াছিলেন। বসুমহাশয়ের মতে উপরোক্ত সমস্যা পূরণ হইতে তিনি তাহার সুযোগ অন্বেষণে প্রবৃত্ত হন। বাল্যকাল হইতেই প্রতাপাদিত্যের হৃদয় উচ্চাশায় পরিপূর্ণ ছিল। তিনি এই সময় হইতে তাহার পূরণের জন্ত সচেষ্ট হন। - (৩৪) আমাকে খুন করিলেই বা * * ** আঞ্জাম কি মতে হইতে পারে ?—তৎকালে জমাদারদিগের দেয় রাজস্ব বাকী পড়িলে, তাহাদের উকীলদিগকে কারারুদ্ধ ও অন্য প্রকারে নির্য্যাতন করিয়া রাজস্ব আদায় করা হইত। কোম্পানীর রাজত্বের প্রথম আমল পৰ্যন্তও ঐরূপ নিয়ম প্রচলিত ছিল। প্রতাপাদিত্য কৌশলপূৰ্ব্বক যশোরের রাজস্ব গোপন করিয়া তাহার জমাদার স্বীয় পিতার নামোল্লেখ না করিয়া বসন্তরায়ের প্রতি বাদসাহের ক্রোধ জন্মাইবার চেষ্টা করিতেছিলেন। ক্রমে বসন্তরায়ের প্রতি র্তাহার বিদ্বেষ ভাব প্রবল হইতেছিল, বসুমহাশয় তাহাই দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু সে সময়ে যশোরের রাজস্ব বরাবর আগরাতে প্রেরিত হইত কিনা সন্দেহ। দাউদের পতনের পর বাঙ্গলায় মোগল সুবেদার নিযুক্ত হইয়াছিলেন। তাহদের নিকট প্রথমে রাজস্ব পহুছিবার কথা। (৩৫) ফরমান রাজা প্রতাপাদিত্যের নামে হইল – বক্সগশয়ের মতে প্রতাপাদিত্য কৌশলপূৰ্ব্বক যশোর রাজ্যের সনদ