পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ నని ] পের আগরাবাসের কার্য্যাদি জানিতে ইচ্ছুক হইলে প্রতাপ নিজে কিছু না বলিয়া তাহাদিগকে বাদসাহী ফৰ্ম্মান পাঠ করিতে দেন। তিনি পিতা ও পিতৃব্যকে অতিক্রম করিয়া যে ফরমান প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তজন্ত লজ্জিত হইয়াছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনিই নে প্রকৃত প্রস্তাবে যশোর রাজ্যের অধীশ্বর হইয়াছেন তাহাও পিতা ও পিতৃবাকে জানাইয়াছিলেন। (৪০) আমাদের ক্ষোভ নাই – রাজা বসন্ত রায় কতকবা প্রতাপের প্রতি স্নেহবশতঃ, কতকবা তাতার ক্ষমতা ও বাদসাহেব আদেশ দেখিয়া প্রতাপের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করিতে পারেন নাই। তিনি এ ক্ষেত্রে প্রতাপকে সন্তুষ্ট করাই যুক্তিযুক্ত মনে করিয়াছিলেন। (৪১) পশ্চাতকাল বেতণ্ট হওনের আটক হবে না —বসন্তরায় ও তদ্বংশীয়গণের সহিত প্রতাপের যে পরিণামে বিবাদ ঘটবে ইহা প্রতাপ বরাবরই জানিতেন। বসুমহাশয় তাহাই এস্থলে প্রচারিত করিয়াছেন। বিক্রমাদিত্যও তাই বুঝিতেন বলিয়া ইত্যর একটা মীমাংসার জন্য উদ্যোগী হইয়াছিলেন। (৪২) দশানি ছয় আনি ভাগের ৫ * ৫ আপন জিম্বা রাখিলেন — বিক্রমাদ্বিত্য জীবিত থাকিতেই প্রতাপ ও বসন্ত পাযের মধ্যে ভবিষ্যতে বিবাদ ঘটিবার সম্ভাবনায় যশোর রাজ্য দশ আন 3 ছয় আন ভাগে বিভাগ করিয়া দেন। প্রতাপ দশ আনা ও বসন্তরায় ছয় আনা প্রাপ্ত হন। তাহার মৃত্যুর পর, উভয়েই স্ব স্ব ভাগ অধিকার করেন। পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে যে, পূৰ্ব্বে মধুমতী ও পশ্চিমে ভাগীরথী এই উভয় নদীর মধ্যবৰ্ত্তী স্থান যশোর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এক্ষণে এই বাজ্যের কোন কোন অংশ দশ আনার মধ্যে ও কোন কোন অংশ ঈয় আনার মধ্যে পড়িয়ছিল তাহাই বিবেচ্য বিষয়। যত দূর বুঝিতে পারা