পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ لار د ] (৫২) ক্রোর টাকা খরচের বরাদ্ধ হইল—ইহ মাহমনিক মাত্র। সম্ভবতঃ বসুমহাশয় এইরূপ প্রবাদ শ্রত হইয়া থাকিবেন। ইঙ্গর কোন মূল আছে বলিয়া বোধ হয় না । (৫৩) রাঢ় গৌড়বঙ্গ—গোঁড় সম্ভবতঃ বরেন্দ্রভূমি। কারণ গৌড় বরেন্দ্রভূমির মধ্যেই অবস্থিত। কিন্তু ষোড়শ শতাব্দীতে রাঢ় ও বরেন্দ্রভূমি কখনও কখনও কেবল গোড়নামেই অভিহিত হইত। যথা— “ধন্ত রাজা মানসিংহ, বিষ্ণুপদাম্ভোজভৃঙ্গ ५ গৌড়বঙ্গ উৎকল অধিপ।” কবিকঙ্কন । এতদ্ভিন্ন প্রসিদ্ধ গোঁড়বঙ্গের রাস্ত হইতেও তাহ প্রতিপন্ন হয়। (৫৪) বৈশাখী পূর্ণিমা—যে দিন প্রতাপাদিত রাজ্যে অভিষিক্ত হন সে দিন বৈশাখী পূর্ণিমা ছিল। বৈশাখী পূর্ণিমা বঙ্গদেশের একটি পুণ্যতিথি, এই তিথিতে ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের ফুলদোল-উৎসব হইয়া থাকে। প্রতাপাদিত্য সেই পুণ্যময় দিনেই রাজ্যে অভিষিক্ত হন। এই দিন হইতে তিনি প্রকৃত স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়া নিজ নামে মুদ্রাদি অঙ্কিত করিয়াছিলেন কিনা জানা যায় না, তবে ইহার পর হইতে তিনি যে ক্রমে ক্রমে আপনার ক্ষমতাবিস্তারে প্রয়াসী হন, তাহার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। কোন বৎসরের বৈশাখী পূর্ণিমাতে প্রতাপাদিত্য বাজ্যাভিষিক্ত হইয়াছিলেন, তাহা জানিবার উপায় নাই। যশোরের ঘটকগণ বলেন যে, ১৫২৪ শকে বা ১৬০২ খৃঃ অব্দে বসন্তরায়কে নিষ্ঠত করিয়া প্রতাপাদিত্য রাজ্যেশ্বর হন। “যুগযুগেষু চন্দ্রেচ শকে হত্বা বসন্তকং। প্রতাপাদিত্যনামাসে জায়তে নৃপতিম হান ॥” . কিন্তু ইহার পূৰ্ব্বে যে প্রতাপাদিত্য রাজ্য লাভ করিয়াছিলেন, তাহা