পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১৪ ] কারিকায় কমল খোজার উল্লেখ নাই। কমল খোজার সম্বন্ধে যশোর অঞ্চলেও প্রবাদ প্রচলিত আছে। ঈশ্বরীপুরের নিকট কমল খোজার গড় নামক স্থানে তাহার বাসভবনের চিহ্ন অদ্যাপি লোকে দেখাইয়া থাকে। কেহ কেহ অনুমান করেন কমল খোজা আগরা হইতে প্রতাপাদিত্যের সহিত আগমন করিয়াছিল। (৬০) সেই কালী দক্ষিণ বাহিনী পশ্চিম বাহিনী হইলেন —যশোর পীঠস্থান বলিয়। অনেক তন্ত্রে উল্লিখিত আছে। প্রতাপাদিত্যের সময়েও যে যশোরেশ্বরী বিদ্যমান ছিলেন, দিগ্বিজয়প্রকাশ হইতে তাহ অবগত হওয়া যায়। সম্ভবতঃ র্তাহার মন্দিরাদি নিবিড় অরণ্যে আচ্ছাদিত হওয়ায় প্রতাপাদিত্য তাহার আবিষ্কার করিয়া পুনরায় তাহার মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। বসুমহাশয়ের লিখিত বিবরণ ব্যতীত প্রতাপাদিত্য কর্তৃক যশোরেশ্বরীর আবিষ্কার সম্বন্ধে আরও দুই একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে। যশোরেশ্বরীর পশ্চিমবাহিনী হওয়ার সম্বন্ধে ও তাহার বিস্তৃত বিবরণ (৯৮ ) টিপ্পনীতে আলোচিত হইবে। (৬১) স্বর্গে ইন্দ্র পাতালে বাহুকি পৃথিবীতে প্রতাপাদিত্য-ভাটকে প্রতাপাদিত্যের পুরস্কার দেওয়ার প্রবাদটি বিশেষ ভাবে প্রচলিত আছে। তবে বসুমহাশয় যে ভাটের উক্তি কিছু অতিরঞ্জিত করিয়া বর্ণনা করিয়াছেন তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু ভাট যে প্রতাপাদিত্যকে ইন্দ্র ও বাসুকীর সহিত তুলনা করিয়া স্তব করিয়াছিল ইহা সাধারণ প্রবাদ। ভাটের স্তবটি প্রবাদমুখে এইরূপ কথিত হইয়া থাকে। “স্বর্গে ইন্দ্র দেররাজ বাসুকী পাতালে, প্রতাপাদিত্য রায় অবনীমণ্ডলে ॥” (৬২) প্রতাপাদিত্যের ডোলার কন্যা হইলেন খাস বেগম—বল্পমহাশয় রাজাদিগের ডোলার কন্যার বিষয় যাহা উল্লেখ