পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२२ ] নির্দেশ করিয়াছি যে, ভাগীরথীর নিকটবৰ্ত্তী স্থান সমূহ বসন্তরায়ের ছয় আন অংশে পড়িয়াছিল। কিন্তু যে সময়ে জেসুইট পাদরীরা এদেশে আসিয়াছিলেন, সে সময় সে সমস্ত স্থানও প্রতাপাদিত্যের অধিকারভুক্ত ছিল। তাহারা ১৫৯৮-৯৯ খৃঃ অব্দে বঙ্গদেশে আসেন ও ১৬০৩ পর্যন্ত এদেশে অবস্থিতি করেন। প্রতাপাদিত্যের রাজ্য ভ্রমণ করিতে ১৫ বা ২০ দিন লাগিত বলিয়া তাহার উল্লেখ করিয়াছেন, এবং চ্যাণ্ডিকান বা সাগর দ্বীপ প্রতাপাদিত্যের রাজ্যের প্রধান স্থান বলিয়া তাহদের বর্ণনায়ু দেখিতে পাওয়া যায়। উক্ত সাগর দ্বীপ বসন্তরায়ের রাজ্যের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল। তাহা হইলে পাদরীগণের আগমনের পূৰ্ব্বে যে বসন্তরায়ের রাজ্য প্রতাপাদিত্যের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল, ইহাই প্রতীয়মান হয়। সুতরাং ইহার পূৰ্ব্বেই বসন্তরায়ের হত্য ঘটার সম্ভাবনা। আবার আমরা দেখিতে পাই যে, কচুরায়ের আবেদনে বাদসাহ জাহাঙ্গীর মানসিংহকে প্রেক করিয়াছিলেন। কচুরায় বা রাঘবরায় প্রতাপাদিত্যের সহিত যুদ্ধে যোগ বীরত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহাতে সে সময়ে অর্থাৎ ১৬০৬ খৃঃ আদ তিনি প্রাপ্তবয়স্ক হইয়াছিলেন বলিয়াই বোধ হয়। অন্ততঃ তাহার বয়ঃক্রম সে সময়ে ২০ বৎসর হইলে তদনুসারে বসন্তরায়ের হত্যার সময় নির্দেশ করিতে চেষ্টা করিলে ১৬০২ খৃঃ অব্দের পূৰ্ব্বে তাহ স্থির হয়। কুলাচার্যগণ বলিয়া থাকেন যে, রাঘব বা কচুরায় বসন্তরায়ের হত্যার সময় অত্যন্ত শিশু ছিলেন, তাহার দ্বাদশ বৎসর বয়স কালে তিনি বাদসাহের নিকট প্রতাপাদিত্যের অত্যাচারের কথা নিবেদন করেন। কিন্তু যে সময়ে কচুরায় বাদসাহ জাহাঙ্গীরের দরবারে উপস্থিত হন, সে সময় তাহা বয়স দ্বাদশ বৎসরের অনেক অধিক ছিল, কারণ তাহারই অব্যবহিত পরেই তিনি মানসিংহের সহিত যশোরে উপস্থিত হইয়া অদ্ভুত বীরত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন। আমাদের বিবেচনায় বসন্ত রায়ের হত্যার সময় তাহা