পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৭ ] উড়িষ্যার খাজা ইশ তাহাতে সন্দেহ নাই। বসুমহাশয়ের ইছা খং উড়িবার খাজা ইশ লোহানি বা লোণার গায়ের ইশা খাঁ মসনদ আলি হইলেও ১৬০০ খৃঃ অব্দের পূৰ্ব্বে বসন্ত রায়ের হত্য ঘটিয়াছিল বলিয়া স্থির হয়। কারণ ইশা খা লোহানি কতলু খাঁর মৃত্যুর পর ১৫৯৯ বা ১৬০০ খৃঃ অদ পৰ্য্যন্ত উড়িষ্যা শাসন করিয়াছিলেন, ১৬০০ খৃঃ অব্দে তাহার পুত্ৰ (৪য়াটের মতে কতলুর পুত্র)ওসমান আফগানদিগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। সুতরাং ঈশ৷ স্বার প্রভুত্বকালে যে বসন্ত রায়ের সন্তানেরা তাঙ্গার সাহায্য গ্রহণ করিয়াছিলেন ইহাই সম্ভব বলিয়া বোধ হয়। ইশা খাঁ মসনদ আলি হক্টলেও ১৬০০ খৃঃ অব্দে র্তাহার দেহবসান ঘটে। সুতরাং তৎপূৰ্ব্বে বসন্ত বায়ের হত্যা ঘটা সম্ভব । (৭৫) সেনাপতি বলবন্ত খোজাকে—বস্থমহাশয় বলবস্তুকে যেরূপ সাহসী বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাতে তিনি ইশাথার একজন প্রধান সৈনিক কৰ্ম্মচারী ছিলেন বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু তাতার সম্বন্ধে কোন ও ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না । (৭৬) বালকের দিগকে পাঠাইতে স্বীকার করিল— বসুমহাশয় লিখিতেছেন যে, প্রতাপাদিত্য বসন্তরায়েব পুলদিগকে কারারুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন। পরে ইশাখার প্রেরিত বলবস্তপোজ গিয়া প্রতাপদি তাকে ভয় প্রদর্শন করিয়া উদ্ধার করেন। কিন্তু প্রবাদানুসারে কচুরায় রাণী কর্তৃক কচুবনে রক্ষিত হইয়া পরে কোনরূপে পলায়ন করেন বলিয়া *ক্ষপিত হইয়া থাকে। কুলাচাৰ্য্যগণও তাহাই বলেন— বসন্তরায়তনয়: রাঘবং শৈশবঃ স্মৃত: । অসেী কচ্চীবনপ্রান্তে রাজপত্ন্যা সুরক্ষিতঃ । কচুরায় স্ততঃখ্যাতে বিধিনা জীবিত:কিল।” ভারতচন্দ্রও বলিয়াছেন,—