পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२४ ] “তার বেটা কচুরায় রাণী বাচাইল তায়, জাহাঙ্গীরে সেই জানাইল ।” আবার রেবতী নামী ধাত্রী কর্তৃকও রাঘবের রক্ষার কথাও প্রচলিত আছে। ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতে ধাত্রীকর্তৃক কচুরায়ের রক্ষার কথা আছে। “তদ্বংশে তন্নিততপিত্রাদিশ্বজনঃ একঃশিশু পলায়নপরে ধাত্রা কচ্চীবনে রক্ষিতঃ অতস্তং কচুরায়নামানং কথয়ন্তি।” সম্ভবতঃ রাঘবরায় বসন্তরায়ের হত্যার সময়ে ঐ রূপে কচুবনে পলায়িত হইয়া জীবন রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহার পর তাহার ইশাখার আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে তথা হইতে বাদসাহের দরবারে উপস্থিত হন। (৭৭) সাত পুত্রের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাঘব রায় & * * দিল্লী যাইয়া--বস্থমহাশয় রাঘব রায়কে বসন্তরায়ের সন্তানদিগের পঞ্চ বলিতে চাহেন। কিন্তু কুলাচাৰ্য্যদিগের বর্ণনায় তাহাকে সৰ্ব্ব কনিষ্ট বলিয়া প্রতীয়মান হয়। (৬৪) টপ্পনী দেখ । বসন্তরায়ের হত্যার সময় রাঘবরায় যেরূপ শিশু ছিলেন, তাহাতে র্তাহার সৰ্ব্ব কনিষ্ঠ হওয়াই সম্ভব। তিনি যে আগরায় গিয়া বাদসাহকে প্রতাপাদিত্যের বিষয় অবগত করাষ্টয়াছিলেন, ইহা পূৰ্ব্বাপর প্রচলিত। কুলাচাৰ্য্যগণ লিখিয়াছেন,— - “বর্ষদ্বাদশমাপন্ন স্তীব্ৰধীলক্ষণান্বিতঃ। উপগম্যাতিদুঃথেন দিল্লীশ্বরসমীপতঃ। নুপালচেষ্টিতং সৰ্ব্বং জ্ঞাপয়ামাস বিস্তরাৎ ॥” ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতে লিখিত আছে—“কচুরায়েণাপি ইন্দ্রপ্রস্থপুরগতেন সাক্ষিণেব তদানীমেব তদেীর্জন্তঃ গোচরীকৃতং।” ক্ষিতীশ বংশৰলীর মতে বাদসহ তৎপূৰ্ব্বে তাহার বঙ্গদেশস্থ কৰ্ম্মচারিগণের নিকট হইতে প্রতাপাদিত্যের দেীর্জন্তের কথা অবগত হইয়াছিলেন। ভারতচন্দ্র লিখিয়াছেন, “জাহাঙ্গীরে সেই জানাইল।”