পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J אנצל ] প্রতাপাদিত্যের আদেশে যে একজন স্ত্রীলোক নিৰ্য্যাতিত হইয়াছিল, এই প্রবাদ পূৰ্ব্বাপর চলিয়া আসিতেছে। এই সম্বন্ধে একটি উল্ট কবিতাও আছে । (৮৩) রাজার শরীরে কুষ্ঠ ব্যাধি হইল—বস্থমহাশয় ব্যতীত আর কেহ প্রতাপাদিত্যের কুষ্ঠ ব্যাধির কথা উল্লেখ করেন নাই। বসুমহাশয়ের সময় এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত ছিল কিনা তাহা জানা যায় না। প্রতাপাদিত্যের উত্তরোত্তর নিষ্ঠুরতা দেখিয়া ইহা তিনি নিজে গঠিত করিয়া লইয়াছেন, কি প্রবাদাবলম্বনে লিখিয়াছেন তাহা বুঝিবাব উপায় নাই। (৮৪) পরিচিত হইলেন ওজিরজাদার কাছে—যে সময়ে রাঘব রায় বা কচুরায় আগরায় গমন করেন, সে সময়ে খানি আজ মির্জা আজিজ খা বাদসাহের উজীর ছিলেন। রাঘব আকবর জীবিত থাকিতে আগরায় গিয়াছিলেন কি জাহাঙ্গীর সিংহাসনে উপবেশন করিলে তৎপরেই তথায় উপস্থিত হইয়াছিলেন তাহা সুস্পষ্টরূপে বুঝা যায় না। যদিও তিনি জাহাঙ্গীরের দরবারে প্রতাপাদিত্যের অত্যাচারের কথা জ্ঞাপন করিয়াছিলেন, তথাপি বসুমহাশয়ের বর্ণনানুসারে তিনি তাহার কিছু পূৰ্ব্বেই আগর গমন করিয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয়। আমরা জানিতে পারি যে, জাহাঙ্গীরের সিংহাসনারোহণের অত্যন্স কাল পরেই অর্থাৎ ১৬৭৫ খৃঃ অব্দের শেষ ভাগে মানসিংহ পুনৰ্ব্বার বাঙ্গালায় আগমন করেন ও আট মাস তথায় অবস্থিতি করেন। তাহার মধ্যে ১৬০৬ খৃঃ অব্দে প্রতাপাদিত্যের পতন হয়। আকবরের মৃত্যুর সময় খানি আজম উজীর ছিলেন। যদিও তিনি স্বীয় জামাতা ও জাহাঙ্গীরের পুত্র খসরুকে সিংহাসনে বসাইবার জন্য চেষ্টা করায় জাহাঙ্গীর তাহার উপর বিরক্ত হন, তথাপি তিনি তাহাকে । ও মানসিংহকে ক্ষমা করিয়া- পুনৰ্ব্বার তাহাদিগকে স্ব স্ব -পদ প্রদান