পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩৪ ] -খ চিস্তিকে উজীর বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। ইসলাম খাঁ চিস্তি উজীর ছিলেন কিনা সন্দেহ, অন্তত: এ সময়ে যে ছিলেন না, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। (৯৪) টিল্পনীতে তাহ আলোচিত হইবে। ইসলাম গ উঞ্জীর হইলে তাহার পুত্ৰ হোসাঙ্গের সহিত রাঘব রায়ের বন্ধুত্ব ঘটিয়াছিল বলিয়া বিবেচনা করিতে হয়। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে ইসলাম খা উজীর না থাকায়, আজমর্থীর পুত্রের সহিতই তাহার পরিচয় হওয়া সম্ভাবনা। কিন্তু আজমর্থর মির্জা সামশি, মির্জ সাহমান, মির্জ খরম, মির্জ আবদুল্লা, মির্জা আনোয়ার, আবদুল লতিফ, মৰ্ত্তাজ, আবদুল গফুর নামে আট পুত্র ছিল, তাহদের মধ্যে কাহার সহিত রাঘব রায়ের পরিচয় হইয়াছিল তাঙ্গ স্থির করা কঠিন। রাঘব রায় বা কচুরায় যে পারস্ত ভাষাদি পাঠ করিয়াছিলেন, ইঙ্গ ক্ষিতীশবংশাবলীতেও উল্লিখিত হইয়াছে। “কচুরায়: পরিসীকাদিশাস্ত্রমধীতে।” (৮৫) আবরাম খা दांशकूद्र-आहेन আকবরীর মনসব দারদিগের তালিকায় আবরাম খাঁ নামে কোন সেনাপতির উল্লেথ নাই। তবে অনেকগুলি ইব্রাহিম খাঁ ছিলেন। ইব্রাহিমের স্থানে আলরাম লিখিত হইতেও পারে। বস্তু মহাশয় আবরাম বা ইব্রাহিম খাকে পঞ্চ হাজ্ঞানী মনসবদার বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু পঞ্চহাজারী মনসবদাবের মধ্যে যে ইব্রাহিমের উল্লেখ হয়, তাহার নাম মির্জা ইব্রাহিম। মির্জা ইব্রাহিম আকবরের রাজত্বের প্রারম্ভে বালুথের যুদ্ধে নিহত হন। তিনি কখনও আকবরের দরবারে উপস্থিত হন নাই, কেবল তাহার প্রতি মৰ্য্যাণ প্রকাশের জন্ত মনসবদারদিগের তালিকায় তাহার নাম লিখিত হইয়াছিল। সুতরাং বসুমহাশয়ের লিখিত অবিরাম বা ইব্রাহিম কদাচ মির্জা ইব্রাহিম হইতে পারেন না। মির্জা ইব্রাহিম ব্যতীত আকবরের সময় আড়াই হাজার মনসবদার ইব্রাহিম খাঁ শৈবানি, দোহাজারী মনসবদার সেখইব্রাহিম,