পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ Sc3 | পূজাস্থানে আসিয়া বসিলেন। রাজা তাহাকে আপন কন্যাজ্ঞানে বললেন, “তুই যা, আমাকে পূজা করিতে দে, তুই যা।” এইরূপ তিনবার বলিলে মাতা বলিলেন, “তোমার ও আমার মধ্যে যে অঙ্গীকার ছিল, তাহ পূর্ণ তই ” তখন রাজা বলিলেন, “আমাকে আপনি ছলনা করিলেন, আপনার সহ অভিরুচি করুন,” পরে মাতাকে সমুদ্রমধ্যে নিক্ষেপ করিলেন। তখন দেবী মানসিংহকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “আমাকে সমুদ্র মধ্যে নিক্ষেপ করিয়াছে, এখান হইতে আমাকে উঠাইয়া লও, আমি তোমার প্রতি প্রসন্ন হইয়াছি।” ইহার পর রাজা মানসিংহ কেদার রাজাকে হারাইয়াছিলেন। রাজা জাহাজে করিয়া পলাইলেন এবং দেওয়ানকে মানসিংহের নিকট পাঠাইলেন, দেওয়ান মানসিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিলে পর মানসিংহ রাজা কেদারের কন্যা প্রার্থনা করিলেন। রাজা দিতে অঙ্গীকার করায় উভযেন মিলন হইয়া গেল, এবং কেদার রাজা মানসিংহকে নজর করিলেন। মানসিংহ কহিলেন তোমার রাজ্য তোমায় দিলাম। কেদার রাজা সেলাম করিলেন। পরে মানসিংহ সমুদ্র হইতে মাতাকে উঠাইলেন এবং নিবেদন করিলেন, “মাত আপনি আজ্ঞা করুন, আমি সেই মত আপনার পূজা করিব।” তখন মাত কহিলেন, “যতদিন পর্য্যন্ত প্রত্যহ আমার নিকট বলিদান হইতে থাকিবে, ততদিন তোমার রাজ্য অটল থাকিবে । আর আমিও থাকিব। যে দিন হইতে নিত্য বলিদান বন্ধ হইবে, সেই দিন তোমার সহিত আমার অঙ্গীকার পূর্ণ হইবে।” রাজা ইহাই স্বীকার করি লেন, এবং মাতাকে লইয়া আসিলেন এবং বাঙ্গালীদিগকে ইহার পূজার ভার সমর্পণ করিলেন। অনন্তর, তথা হইতে কুচ করিয়া যাত্রা করিলেন।* • এই বংশাবলীর বঙ্গানুবাদ ১৩১১ সালের সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকায় ঐযুক্ত মেধা ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় ‘বিদ্যাধর' প্রবন্ধে প্রথমে প্রকাশ করেন। শ্ৰীযুক্ত নবকৃষ্ণ রায় মহাশয় মূল ও সম্পূর্ণ অনুবাদ আমাদিগকে পাঠাইয়াছেন। (পরিশিষ্ট দেখ। )