পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ × 8 J কন্যাবেশধারিণী দেবীকে চলিয়া যাইতে বলিলে তিনি এই বলিয়া অন্তৰ্হিত হইয়াছিলেন— “ভূপবাক্যং তত: শ্ৰুত্ব প্রত্যুবাচ প্রহৃষ্য সী। স্থিতাহং শক্তিরূপেন সৰ্ব্বভূতেষু নিত্যশ: | স্ক্রিয়াঃ শক্ত্যাঃ ন ভোদোহস্তি ন হি জানাসি দুৰ্ম্মতে । স্তনাবষ্ঠ ত্বয়া ছিল্লেী দরিদ্রয়াশ্চ ষোষিতঃ ॥ পূৰ্ব্বং কৃত প্রতিজ্ঞ ভো ত্বয়া সাৰ্দ্ধং মহীপতে। ত্যক্ষামি ত্বাং তদা রাজন যদা মাং যাহি ভাষসে ॥ প্রতিজ্ঞ মেইভবৎ পূর্ণ ত্বাং ত্যক্ত যামি নিশ্চিতম্। ইত্যুক্ত চ ততো দেবী তত্ৰৈবান্তরধীয়ত।" তাহার পর প্রতাপাদিত্য র্তাহার মন্দিরে গিয়া পূজাৰ্চনাও করিাছিলেন। কুলাচাৰ্য্যগণ কিন্তু তাহার পশ্চিমবাহিনী হওয়ার বিষয়ও উল্লেখ করেন নাই । বসুমহাশয় এক স্থলে লিখিয়াছেন যে, যশোরেশ্বরী ঠাকুরাণী অস্থাপি আছেন। বাস্তবিক আজিও যশোৱেশ্বরী বিদ্যমান আছেন। যদিও প্রবাদানুসারে তিনি প্রতাপাদিত্যের পরে স্থাপিত বলিয়। কথিত হইয়া থাকেন। এই সমস্ত আলোচনা করিলে মানসিংহ যশোরেশ্বরীকে লইয়া গিয়াছিলেন কি না সে বিষয়ে সন্দেহ উপস্থিত হয়। যশোরেশ্বরী প্রতাপদিত্যের স্থাপিত নহেন। তন্ত্রাদিতে যশোরেশ্বরীর কথা লিখিত আছে— তন্ত্রচুড়ামণিতে যথা— “যশোরে পাণিপদ্মঞ্চ দেবতা যশোরেশ্বরী। চওশ ভৈরব স্তত্র যত্র সিদ্ধিমবাপ্পয়াৎ।” ভবিষ্যপুরাণে লিখিত আছে— * - “কলে: সায়ং যশোরে চ যবনানাঞ্চ রাজ্যকে । যশোরেশী মহাদেবী চান্তর্বানং ভবিবাতি।