পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ do t } তত্রৈব পতিতে দেব্যাঃ হস্তপাদেী পুরা দ্বিজ । রুরুভৈরবো হস্তীতি চেশ্বরীপুরমধ্যতঃ ॥” দিগ্বিজয়প্রকাশে লিখিত আছে যে, এখানে মহাদেবের মস্তক হইতে সঞ্জদেবীর বাহু ও পদ পতিত হইয়াছিল, তাহাই যশোরেশ্বরী নামে খ্যাত। অনরি নামক একজন ব্রাক্ষণ বনমধ্যে শতদ্বারযুক্ত দেবীর প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। পরে গোকৰ্ণকুলসস্থত ধেনুকৰ্ণ নামে এক ক্ষত্রিয় রাজা পশ্চিম হইতে আসিয়া বন কাটাইয়া যশোরেশ্বরীর নিকটে ইষ্টকরচিত গৃহ নিৰ্ম্মাণ করেন। বল্লালসেনের পুত্র লক্ষ্মণসেন যশোরস্থ সেনহট্ট গ্রাম ' পত্তন করিয়া যশোরেশ্বরীর নিকট একটি শিবমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । , ইহা হইতে বুঝা যায় যে, প্রতাপাদিত্যের বহুপূৰ্ব্বে যশোরেশ্বর বিদ্যমান ছিলেন। পীঠস্থানে প্রায় দেবীমূৰ্ত্তি দৃষ্ট হয় না। কোন কোন স্থানে আধুনিক মূৰ্ত্তি দেখা যায় বটে, কিন্তু যশোরেশ্বরীর সম্পূর্ণ মূৰ্ত্তি ছিল কিনা সন্দেহ। বসুমহাশয় লিখিয়াছেন যে, প্রতাপাদিত্য র্তাহার মুখ পৰ্য্যন্ত আবিষ্কার করিয়াছিলেন, এক্ষণেও তাহাই দৃষ্ট হয়। সুতরাং এই সব কারণে শিলাদেবী যশোরেশ্বরী কি না তাহ স্থির করা সুকঠিন। বিশেষতঃ মানসিংহ বহু প্রাচীন কালের পীঠস্থানের অধিষ্ঠাত্রীদেবীকে সহসা যে লইয়া যাইতে সাহস করিয়াছিলেন ইহাও সম্ভব বলিয়া বোধ হয় না, এবং ফুলায় রাজ্যলাভ করিয়া রাজ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে যে ছাড়িয়া দিয়াছিলেন তাঙ্গও যুক্তিযুক্ত বলিয়া বোধ হয় না। অম্বরের শিলাদেবী অষ্টভুজ দুর্গামূৰ্বি, কিন্তু যশোরেশ্বরী কালিকামূৰ্ত্তি বলিয়া কথিত। এই সব কারণে আমরা যশোরেশ্বরী ও শিলাদেবী এক কিনা স্থির করিতে সক্ষম নহি। শিলাদেবী যে বঙ্গ দেশ হইতে অম্বরে গিয়াছিলেন তাহাতে কোনই সন্দেহ নাই, অস্থাপি তাহার পুরোহিতবংশীয়গণ আপনিদিগকে > *