পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা । - سہ حکمہ<-۔ বঙ্গ সাহিত্য-কানন পর্য্যাপ্তপুষ্পস্তবকাভিনয় কবিতা-বল্লরীর দ্বারা সুশোভিত হইয়া বহুযুগ পর্য্যন্ত আনন্দ বিতরণ করিয়াছিল। বিদ্যাপতি, চণ্ডিদাস, কৃত্তিবাস, কবিকঙ্কণ, কাশীরাম, ভারতচন্দ্র আপনাদিগের হৃদয়প্রস্রবণনিঃস্বত রসধারাসেচনে যে সকল মনোহারিণী কবিতা-লতাকে রোপিত ও বদ্ধিত করিয়াছিলেন, আজিও তাহারা গৌরবভরে বঙ্গসাহিত্যকানন উজ্জ্বল করিয়া রাখিয়াছে। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই সমস্ত কবিতা-লতার মনোজ্ঞ কুমুমনিচয় অক্ষুণ্ণভাবে সৌরভ বিতরণ করিত। সে সময়ে সেই সুশোভিত উদ্যানে দুই একটি ক্ষুদ্র কণ্টকাকীর্ণ গদ্য-তরু ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ভাবে অবস্থিতি করিতেছিল। কবিতার দিগন্ত-প্রসারিণী শাখার ছায়াতলে তাহার নীরবে কালযাপন করিত। সে ছায়া ভেদ করিয়া তাহারা উদ্ধে উঠিতে সক্ষম হইত না । এই সময়ে রাজা রামমোহনের রোপিত দুই একটা শিশু-তরু বঙ্গ সাহিত্যকাননে আশ্রয় লাভ করিতে আরম্ভ করে। বাঙ্গালায় মুসলমান রাজত্বের অবসান হইলে ব্রিটিশ-গৌরব-তপন দিগন্ত উজ্জ্বল করিয়া প্রকাশিত হয়। তাহার কিরণ-লহরী বঙ্গরাজ্যের রাজনৈতিক জগতে আবদ্ধ না থাকিয়া বঙ্গসাহিত্য-কাননেও বিচ্ছুরিত হইয়া পড়ে। তাহারই ফলে আমরা দেখিতে পাই যে, কবিতা-শাখা-আচ্ছাদিত সাহিত্য-কাননে আলোকমালা প্রবেশ করিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গদ্য-তরুগুলিকে সঞ্জীবিত করিয়া নব নব তরুসাহচর্য্যে তাহাদিগকে এক অভিনব জগতে স্থাপন করিতেছে। বঙ্গ সাহিত্য-কাননে