পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ సి0 ] উইলিয়ম কলেজে সমভাবেই অধীত হইত। আমরা বৰমহাশয় সম্বন্ধে যতদূর জ্ঞাত হইয়াছি, তাহা প্রকাশ করিলাম। এক্ষণে র্তাহার প্রসন্তু গ্রন্থ রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র সম্বন্ধে যথাসাধ্য আলোচনার চেষ্ট৷ করিতেছি। আমরা পূৰ্ব্বাপর বলিয়া আসিয়াছি যে, এই সময় হইতে বাঙ্গল গন্ত রচনার স্বত্রপাত হয়। রাজা রামমোহন রায় ইহার প্রথম পথপ্রদর্শক। কিন্তু রামরাম বসুমহাশয় রাজার পূৰ্ব্বেই সেই পথে প্রকাষ্ঠভাবে বিচরণ করিতে আরম্ভ করেন। যে সময়ে বাঙ্গলা গদ্যরচনার স্বচনা হয়, সে সময়ে বাঙ্গালী সাধারণে ফারসী ও আরবী ভাষাকেই আদর্শ মনে করিতেন, এবং ঐ সকল ভাষা শিক্ষার জন্ত যত্ন লইতেন। সংস্কৃত শিক্ষা কেবল ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও আয়ুৰ্ব্বেদব্যবসায়ীদিগের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল। কেবল যে সাধারণে ফারসী ও আরবী শিক্ষা করিতেন এমন নহে, কিন্তু তাহার আপনাদিগের দৈনন্দিন কথাবার্তায় বহুল পরিমাণে ফারসী শব্দ ব্যবহার করিতেন। ছয় শত বৎসর মুসলমানদিগের সংস্পর্শে থাকিয় জনসাধারণে তাহাদের আচার ব্যবহার সম্যকৃরূপে অনুকরণ না করিলেও রাজভাষার আলোচনায় আপনাদিগের মাতৃভাষার প্রতি উপেক্ষ প্রদর্শন করিয়াছিলেন। অগাধভাণ্ডার সংস্কৃত বা প্রাকৃতের আলোচনা যেন সাধারণের মধ্য হইতে লোপ পাইতে বসিয়াছিল। দেশীয় ভাষার প্রতি তাহদের অধিকার দিন দিন দিন খৰ্ব্ব হইয়া ফারসী ও আরবীর আধিপত্য বৰ্দ্ধিত হইতেছিল। এইরূপে ছয়শত বৎসর অতিক্রান্ত হয়। এই ছয়শত বৎসরের মধ্যে সাধারণ বাঙ্গলা ভাষা ফারসীর ও আরবীর শব্দবাহুল্যে আপনার কলেবর পুষ্ট করিয়া তুলিয়াছিল। হবিরম্ন পরিত্যাগ করিয়া পলায়ই তাহার প্রিয় হইয় উঠে। কিন্তু বঙ্গসাহিত্য-কাননে তখন যে সমস্ত কবিতালত শোভা বৰ্দ্ধন করিতেছিল, তাহারা সেই দেবভাষার অমৃতক্ষরণে গঞ্জীবিত