পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯৪ - ] অম্লান বস্ত্র কেহ বা পট্টবস্ত্র কেহ বা কামতাই কেহ বা লক্ষ্মীবিলাস কেহ বা নীলাম্বর নানান প্রকার পরিচ্ছদে সকলে পরিচ্ছদাম্বিত হইয়া বেশবিন্যাস করিয়া বহুবিধি স্বগন্ধি আতর পৃভূতিতে আমোদিত হইয়া চতুর্দোলে আরোহণে ধুমঘাটের পুরীতে আগমন করিতেছেন - “সকলের আগে দ্বিজগণ বেদ উচ্চারণ করি স্বস্তি বাক্য উচ্চারণ করিতেছে। এই মতে প্রফুল্ল মনে গৃহ প্রবেশ করিলেন। গৃহ প্রবেশ হইলে রাণীরদের আজ্ঞায় সেবকীর তৈল পান ভক্ষ্য দ্রব্য মিষ্টান্ন পৃভূতি দ্রব্য গরিব লোকের দিগকে বিতরণ করিতেছে। এই ২ মতে সকলেই আনন্দিত । পুরীর মধ্যে চারিদিগে জয় জয়কার ধ্বনি হইতেছে।” রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র রচিত হওয়ার পর বসুমহাশয় লিপিমালা রচনা করেন। লিপিমালার অনেক স্থলে ফারসী বা আরবী শব্দের প্রয়োগ আদেী দৃষ্ট হয় না, তদ্বারা বোধ হয়, বস্থমহাশয় রাজা রামমোহনের উপদেশপালনে ক্রমেই সক্ষম হইতেছিলেন। নিয়ে লিপিমালা হইতে একটি স্থল উদ্ধৃত হইল। . “তোমাদিগের মঙ্গলাদি সমাচার অনেক দিবস পাই নাই, তাহতেই ভাবিত আছি ; সমাচার বিশেষরূপ লিখিবা । চিরকাল হইল তোমার খুল্লতাত গঙ্গা পৃথিবীতে আগমন হেতু সমাচার প্রশ্ন করিয়াছিলেন, ভখন তাহার বিশেষণ প্রাপ্ত হইতে পারেন নাই।" • আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, রাজা রামমোহন রায় বাঙ্গল গন্তকে সংস্কৃত শব্দবাহুল্যে গৌরবান্বিত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, এবং রাম রাম বসুমহাশয় তাহার নিকট হইতে গদ্য রচনা শিক্ষা করায় ও রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র তাহার দ্বারা সংশোধিত করিয়া লওয়ায় গ্রন্থের শেষ ভাগে আমরা ফারসী ও আরবী অপেক্ষা অনেক স্থলে সংস্কৃত শব্দবাহুল্য দেখিতে পাই। তাহার লিপিমালায় তিনি উক্ত বিষয়ে অধিকত্তর কৃতকাৰ্য্য ৰইয়াছিলেন। কিন্তু বসুমহাশয় সংস্কৃত অপেক্ষা আরবী ও ফারসীতে: অধিকতর পারদর্শী হওয়ায়, একেবারে ঐ সমস্ত ভাষার শব্দপ্রয়োগে নিরস্ত • ৰিহারীলালের বিদ্যাসাগর, সাহিত্য-সন্ধাৰ ৰাখে।