পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిన& ] হইতে পারেন নাই। বিশেষতঃ তিনি প্রথমতঃ সাধারণ ভাষা অবলম্বন করিয়াই গ্রন্থরচনায় প্রবৃত্ত হন। তৎকালে এমন কি বর্তমান সময় পৰ্য্যন্ত আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারোপযোগী কথাবাৰ্ত্তায় অনেক ফারসী ও আরবী শর মিশ্রিত হইয়া আছে। বহুমহাশয়ের গ্রন্থ আলোচনা করিলে বোধ হয় যে, তিনি অনেক শব্দের সংস্কৃত প্রয়োগ স্থির করিতে না পারিয়াই তাহাদের স্থানে ফারসী ও আরবী শব্দ প্রয়োগ করিয়াছেন। তখন জনসাধারণে সহজে যে সমস্ত শব্দ বুঝিতে পারিত, তিনি তাহাই গ্রন্থমধ্যে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। আমরা এক্ষণে মন্তাধার অপেক্ষ যত শীঘ্ৰ দোয়াত বুঝয়। থাকি, লেখনী অপেক্ষ যত শীঘ্ৰ কলম বুঝিয়া থাকি, তাৎকালিক লোকের সেইরূপ অশ্বারোহী অপেক্ষা শীঘ্রই সওয়ার বা আসেয়ার বুঝতে পারিত, অঞ্চল অপেক্ষ গের্দ বুঝিত। এইরূপ ফারসী ও আরবী শব্দবাহুল্যে যে বঙ্গভাষা অত্যন্ত ভারগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু তাহ বসুমহাশয়ের নিজের দোষ নহে কালের দোষই বলিতে হইবে। মুসলমানদিগের সহিত বহুকালের সংস্পর্শে বঙ্গভাষা ঐরূপ ভারগ্রস্ত হইয়া পড়িয়াছিল। ১৮৫০ সালের কলিকাতা রিভিউ পত্রে আদিম বঙ্গসাহিত্য আলোচনায় রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র সম্বন্ধে যেরূপ মন্তব্য প্রকাশিত হইয়াছিল, আমরা এস্থলে তাহাই উদ্ধৃত করিতেছি। “The life of Raja Pratapaditya, “the last King of Sagur", published in 1801, at Serampur, was one of the first works written in Bengali prose. Its style, a kind of Mosait, half Persian, half Bengali, indicates the pernicious influence which the Mahamadans had exercised over the oanskrit-derived languages of India.” ēst; otą się wrę. Rরও যে দুই চারিটি কথা উক্ত হইয়াছে, আমরা তাহাও উদ্ধৃত করি